সিলেট-৩ আসন : প্রার্থিতায় ‘অনুপ্রবেশ’ ঠেকানোর ঘোষণা আ.লীগের
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ মার্চ ২০১৭, ১:২৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেট-৩ (ফেঞ্চুগঞ্জ-দক্ষিণ সুরমা) আসনে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশ’ প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
১৩ মার্চ রাতে সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ নবনির্বাচিত ব্যক্তিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজ দলীয় সভানেত্রীর অনুমতি পেলে সিলেট-৩ আসনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এ খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
সিলেট-৩ আসনের বর্তমান সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। ‘ফেঞ্চুগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চ’ আয়োজিত ১৩ মার্চের সংবর্ধনায় সাংসদের সমালোচনা করে আয়োজকসহ আওয়ামী লীগের কিছু নেতা বক্তব্য দেন। এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিসবাহউদ্দিন সিরাজ বলেছিলেন, ‘আপনাদের দুঃখ, ক্ষোভ শুনে আমি মর্মাহত হয়েছি। আপনারা আমাকে সিলেট-৩ আসনে প্রার্থী হিসেবে চাচ্ছেন। আমাদের দলনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে অনুমতি দিলে আমি আপনাদের নিয়ে নির্বাচন করব।’
মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ তিন মেয়াদে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আছেন। পাশাপাশি তিনি সিলেটের সরকারি কৌঁসুলির দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেটের যেকোনো একটি আসন থেকে নির্বাচন করার আগ্রহের বিষয়টি তিনি সম্প্রতি বিভিন্ন সভা-সমাবেশে প্রকাশ করছেন। তবে কোন আসনে নির্বাচন করতে চান—এ বিষয়টি স্পষ্ট হয় ওই সংবর্ধনায় দেওয়া তাঁর বক্তব্যে। দলীয় সাংসদ থাকার পরও মিসবাহ উদ্দিনের এ ঘোষণায় নির্বাচনী এলাকায় আলোচনার সৃষ্টি হয়।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শওকত আলী লিখিত বিবৃতিতে উপজেলার ফেঞ্চুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ঋষিকেশ দেব, সাধারণ সম্পাদক লোকমান আহমদ, ঘিলাছড়ার সভাপতি কমর উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মিছবাহ হোসেন চৌধুরী, মাইজগাঁওয়ের সভাপতি মঈন উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালিক, উত্তর কুশিয়ারার সভাপতি নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম, উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জের সভাপতি তোতা মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের স্বাক্ষর রয়েছে।
বিবৃতিতে ১৩ মার্চ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজনকারী সংগঠনকে ‘ভুঁইফোড়’ উল্লেখ করে বলা হয়, ‘দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের কারণে দল থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন, তাঁদেরই কয়েকজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম ব্যবহার করে একটি ভুঁইফোড় সংগঠন করে ওই সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল।’
সিলেট-৩ আসনে নতুন প্রার্থিতা ঘোষণা প্রসঙ্গে বলা হয়, বর্তমান সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট এই চক্র সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সুসংহত অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পরিকল্পিতভাবে কথিত মনোনয়নপ্রত্যাশীদের দিয়ে জলঘোলা করতে মাঠে নেমেছে।
ভবিষ্যতে সিলেট-৩ আসনে মাহমুদ উস সামাদ ছাড়া আর কাউকে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ মেনে নেবে না উল্লেখ করে বলা হয়, সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ছাড়া এই আসনে অন্য কোনো অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারীকে দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ একাংশের সর্বস্তরের জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করবেন।