বিশ্বনাথে ‘ফাস্টলিড সিকিউরিটিজ’ এর বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ মার্চ ২০১৭, ৬:১২ অপরাহ্ণ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি:
২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ‘ফাস্টলিড সিকিউরিটিজ লিমিটেড (১২২ নং লাইসেন্স) সিলেটের বিশ্বনাথের গ্রাহকরা।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকেলে নতুন বাজারস্থ ‘বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব’ কার্যালয়ে ২৮৫ জন গ্রাহকের পক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্তরা নিজেদের মূলধন ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, দুদকসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তালেব আহমদ গোলাপ।
এর আগে দুপুর ১২টায় পুরনো বাজারস্থ ‘বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব’কার্যালয়ে তারা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ফাস্টলিড সিকিউরিটিজ লিমিটেড’ এর ‘মা-মনি ম্যানশনস্থ বিশ্বনাথ শাখা অফিসের মাধ্যমে ২০০৭ সাল থেকে তারা শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করে আসছেন। ২০১০ সালে শেয়ার মার্কেটের বিরাট দর-পতন হলে ব্রোকার হাউসে গেলেও বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রয় না করে উর্ধ্বগতির অপেক্ষায় থাকেন। সম্প্রতি ‘প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী’র সদিচ্ছায় শেয়ার মার্কেট কিছুটা উর্ধ্বমুখী হলে তারা শেয়ার বিক্রয় করতে চান। কিন্তু ব্রোকার হাউস কর্তৃপক্ষ একাউন্টে কোন শেয়ার নেই বলে বিনিয়োগকারীদের জানান। এছাড়া কাউকে শেয়ার বিক্রয় করার অনুমতি না দিলেও কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন তারিখে জালিয়াতির মাধ্যমে শেয়ার বিক্রয় করেন। এমনকি অনেক বিনিয়োগকারীর ‘ক্যাশ লভ্যাংশ’ স্টক লভ্যাংশে জমা করাও হয়নি।
বিষয়টি জানতে পেরে ২৬ জানুয়ারি ‘ফাস্টলিড সিকিউরিটিজ’ এর সিলেট হেড-অফিসে গিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘সি.এস.ই’র সিলেট শাখার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবরে পৃথক আরেকটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের কোন সদুত্তর দেওয়া হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী আবদুল কদ্দুছ, আবুল কালাম, আবদুল মজিদ, আবদুছ সামাদ শিকদার, আবদুল মালিক, ধন মিয়া, শেখ আইয়ুব মিয়া, ফরিদ মিয়া, আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন।