হাইকোর্টে সিলেটের আলোচিত রাজন হত্যা মামলার রায় ১১ এপ্রিল
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মার্চ ২০১৭, ৪:৩৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ সিলেটের আলোচিত সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় সৌদি প্রবাসী কামরুল ইসলামসহ চার আসামিকে নিম্ন আদালতের দেওয়া ফাঁসির রায় হাই কোর্টে বহাল থাকবে কি না- তা জানা যাবে ১১ এপ্রিল। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ ওইদিন আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করবে।
মৃত্যুদণ্ডের অনুমোদন (ডেথ রেফারেন্স) ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে রোববার হাই কোর্ট বেঞ্চ রায়ের এই দিন ঠিক করে দেয়। রাষ্ট্রপক্ষে হাই কোর্টে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির। আসামিপক্ষে ছিলেন এস এম আবুল হোসেন, বেলায়েত হোসেন, মো. শাহরিয়ার ও শহীদ উদ্দিন চৌধুরী। এছাড়া পলাতক দুই আসামির পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হাসনা বেগম। পরে জহিরুল হক বলেন, হাই কোর্টে মোট ১৯ কার্যদিবস শুনানির পর মামলাটি রায়ের পর্যায়ে এসেছে।
২০১৫ সালের ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীদেরই এক সহযোগী নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিলে সারা দেশে তৈরি হয় তীব্র ক্ষোভ। মামলার মূল আসামি কামরুল ইসলাম ওই হত্যাকাণ্ডের দুই দিনের মাথায় পালিয়ে সৌদি আরবে চলে যান। পরে ভিডিও দেখে প্রবাসীদের সহযোগিতায় তাকে আটক করে সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
রাজন হত্যার দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে ওই বছর ১৬ অগাস্ট ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুরঞ্জিত তালুকদার।
মাত্র ১৭ কার্যদিবসে বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালত ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর এ মামলায় যে রায় ঘোষণা করে, তাতে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া একজনের যাবজ্জীবনসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মধ্যে কামরুল ইসলাম, ময়না চৌকিদার, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল ও জাকির হোসেন পাভেল আহমদের ফাঁসির আদেশ হয় নিম্ন আদালতে।
নূর মিয়ার হয় যাবজ্জীবন সাজার রায়। কামরুলের এই সহযোগীই রাজনকে নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও করেন, তারপর ছড়িয়ে দেন ইন্টারনেটে। কামরুলের তিন ভাই মুহিত আলম, আলী হায়দার ও শামীম আহমদকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেয় আদালত। এক বছর করে দণ্ড হয় দুলাল আহমদ ও আয়াজ আলীর।
এক বছর করে কারাদণ্ড হওয়া দুইজনকে এক হাজার টাকা করে এবং দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। আসামিদের মধ্যে জাকির হোসেন পাভেল এবং কামরুলের ভাই শামীম আহমদ মামলার শুরু থেকেই পলাতক। অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় ফিরোজ মিয়া, আজমত উল্লাহ ও রুহুল আমিন নামের তিন আসামিকে সিলেটের আদালত খালাস দিয়েছিল।