ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি অনুমোদন হয়নি ২ বছরেও
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মার্চ ২০১৭, ২:৩২ অপরাহ্ণ
ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটি দুই বছরেও অনুমোদন করা হয়নি। বিগত দুই বছর ধরে দুই নেতার নেতৃত্বে চলছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। প্রস্তাবিত কমিটিতে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের অবমূল্যায়ন, সিনিয়র নেতাদের পদাবনতি ও ভিন্ন দলের যোগদানকারীদের দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন করায় দলের নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। জানা যায়, ফেঞ্চুগঞ্জ আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ২০১৫ সালের ৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিল অধিবেশনে সমঝোতার মাধ্যমে সভাপতি পদে শওকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক পদে আবদুল বাছিত টুটুল নির্বাচিত হন। সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি- গোলাম মৌলা, রশীদ আহমদ, আজিজুর রহমান গেদা, আখলাকুর রহমান চৌধূরী সেলিমসহ দলের প্রবীণ নেতাদের পদাবনতি এবং কমিটি থেকে বাদ দিয়ে জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী সিরাজুল ইসলাম চৌধূরীকে সহসভাপতি করে ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদনের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের বরাবরে প্রেরণ করা হয়। দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে কমিটি প্রেরণ করায় দীর্ঘ দুই বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও প্রস্তাবিত কমিটি অনুমোদন করা হয়নি। দুই বছর ধরে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ চলছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল বাছিত টুটুলের নেতৃত্বে। তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হলেও নেতৃত্ব শূন্যতার কারণে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল বাছিত টুটুল দলের সাংগঠনিক কাজে সময় ব্যয় না করে সিংহভাগ সময় শাহজালাল সারকারখানায় ঠিকাদারী কাজ ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল বাছিত টুটুল দলের মধ্যে নিজস্ব বলয় তৈরি করায় দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এমন অভিযোগ করলেন উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেতা।
আওয়ামীলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন সুরমানিউজকে বলেন, ‘এভাবে দলের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আখলাকুর রহমান সেলিম বলেন, ‘যারা দুর্দিনে দলের সুখে-দুঃখে ছিলেন তাদের মূল্যায়ন দলে নেই।’ এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল বাছিত টুটুল সুরমা নিউজকে বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট প্রস্তাবিত কমিটি জেলায় প্রেরণ করা হয়েছে। সাংগঠনিক কাজে সময় ব্যয় করি না নেতাকর্মীদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, সংগঠনকে সময় দেয়ার কারণে স্থানীয় পর্যায়ে দল শক্তিশালী হয়েছে।