কি আছে আজ রাগীব আলী ও তার ছেলের ভাগ্যে?
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ৩:০২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
বিশাল অর্থসম্পদ, প্রভাব-প্রতিপত্তি কোন কিছুই কাজে আসেনি। পরোয়ানা মাথায় নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েও রক্ষা হয়নি। আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হয়েছে শিল্পতি রাগীব আলীকে। আর সেই আদালতইে আজ বৃহস্পতিবার ভাগ্য নির্ধারণ হবে তার। সিলেটের তারাপুর চা-বাগান বন্দোবস্ত নিতে মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে আজ।
গতকাল বুধবার সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো রায়ের ধার্য্য করার পর থেকেই রাগীব আলী ও তার ছেল কি সাজার মুখে পড়তে যাচ্ছেন, এ নিয়ে সিলেট হয়ে ওঠেছে সরগরম।
নব্বইয়ের দশকে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে তারাপুর চা বাগান দখল করে নেন রাগীব আলী। প্রায় ৪২৩ একর ভূমির তারাপুর চা বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। ওই চা বাগান দখল করতে গিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাগজপত্র জালিয়াতি করেন তিনি। এ নিয়ে ২০০৫ সালে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা দুটি মামলার প্রেক্ষিতে আদালতে একটি রিট পিটিশনের ভিত্তিতে গত বছরের ১৯ জানুয়ারি তারাপুরে রাগীব আলীর দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।
একইসাথে রাগীব আলীর বিরুদ্ধে স্মারক জালিয়াতি ও আত্মসাৎ মামলা দুটি পুনরুজ্জীবিত করারও নির্দেশ দেন আদালত। ওই বছরের ১০ জুলাই রাগীব আলী, তার ছেলে আবদুল হাই, মেয়ে রুজিনা কাদের, জামাতা আবদুল কাদের, নিকটাত্মীয় দেওয়ান মোস্তাক মজিদ ও তারাপুর চা-বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ গুপ্তের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালত ১২ আগস্ট এদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ওইদিনই ছেলেকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান রাগীব আলী।
গত বছরের ১২ নভেম্বর সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্তে গ্রেফতার হন আবদুল হাই। পরে ২৩ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জে গ্রেফতার হন রাগীব আলী। বর্তমানে কারাগারে থাকা দুজনই গুণছেন মামলার রায়ের ক্ষণ।
এদিকে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি মামলায় আদালত অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন। পরে গ্রহণ করা হয় সাফাই সাক্ষ্য। সর্বশেষ গতকাল বুধবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো রায়ের তারিখ ধার্য্য করেন।