নগরীর উপশহরের ক্লাসিক স্কুলের তালা খুলে দিতে আদালতের নির্দেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ৩:০৪ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেট নগরীর উপশহরের ক্লাসিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের তালা খুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সিলেটের সিনিয়র সহকারি দায়রা জজ (সদর) শাহিনুর আক্তার ভবন মালিককে তালা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশের ফলে অনিশ্চয়তায় থাকা ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
রায়ে বলা হয়, ‘বাদি পক্ষ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাদি ভাড়ার চুক্তির মাধ্যমে বিবাদির অধীনে ভাড়াটিয়া। এ বাদিকে বিবাদি পক্ষ বেআইনীভাবে বেদখল করতে পারে না। বাদি পক্ষকে বিল্ডিং ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিবাদী পক্ষ কোনো নোটিশ দেয়নি বা বাদি পক্ষ ভাড়া প্রদানে ডিফল্ডার হয়েছে মর্মে বিবাদি পক্ষ কোনো আপত্তি তুলেনি বা মামলাও করেনি।’
রায়ে আরও বলা হয়, ‘বাদি পক্ষ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্লে শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এখানে পাঠদান করা হয়। নতুন বছরের শুরুতে বেআইনিভাবে বিবাদি পক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনে তালা লাগিয়ে দিলে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা গ্রহণ ও পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদানে ও তাদের ভবিষ্যত মঙ্গল কামনা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনটিকে সকল প্রকার বাধামুক্ত রাখা জরুরি মর্মে প্রতীয়মান হয়। এমতাবস্থায় নালিশা ভবনের গেটসহ অন্যান্য যে সকল জায়গায় বিবাদি পক্ষ তালা লাগিয়েছে, তা অদ্যই খুলে দেওয়ার জন্য বিবাদিকে নির্দেশ দেওয়া গেল।’
প্রসঙ্গত, উপশহরের মেইন রোডে স্কুলের জন্য বদর টাওয়ার নামের একটি বহুতল ভবন ২০০৯ সালে ভাড়া নেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক লবিবুর রহমান। তিনি ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সাল থেকে ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ সাল পর্যন্ত ভাড়ার চুক্তি করেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন চুক্তি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে জটিলতা দেখা দেয়। এ অবস্থায় ভবন মালিক বদরুজ্জামান কোনো নোটিশ না দিয়েই গত ২৪ জানুয়ারি রাতে ভবনটিতে তালা লাগিয়ে দেন ও স্কুলের সাইনবোর্ড খুলে ফেলেন।
এ অবস্থায় গত ২৫ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানের তালা খুলে দেওয়ার নির্দেশ প্রার্থনা করে সিনিয়র সহকারি জজ সিলেট সদর আদালতে স্বত্ব মামলা (মামলা নং-৩০/১৭) করেন স্কুলের পরিচালক লবিবুর রহমান। মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আদালত ওই নির্দেশ দেন। এর আগে স্কুল কর্তৃপক্ষ আদালতে একটি রেন্ট কন্ট্রোল মামলাও করেন, যার নম্বর ৪/১৬।
বাদি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মোত্তালিব চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ফারুক চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী চৌধুরী কামাল। বিবাদি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এম এ রকিব চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন আহমদ।