‘কুপ্রস্তাব’ প্রত্যাখান করায় চাকরি হারালেন সিলেটের মমতা!
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জানুয়ারি ২০১৭, ৮:২০ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের উপপরিচালক কর্তৃক ‘যৌন হয়রানি’ ও অমানবিক ‘অশ্লীল আচরণের’ শিকার হয়েছেন কেন্দ্রের এক কর্মচারী। শুধু তাই নয়, কেন্দ্র থেকে ‘বের করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে’ ওই কর্মচারীর শিশু কন্যা ও বোনকে। সোমবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের কুক মমতা বেগম।
নগরীর ৩৪, কুয়ারপাড় এলাকার মরহুম বাছন মিয়ার স্ত্রী মমতা বেগম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘তিনি প্রতিষ্ঠানে আউট সোর্সিং কর্মচারী হিসেবে কুক পদে ২০১৫ সালে নভেম্বর মাসে নিয়োগ পান। কাজ করার কিছুদিন পর তার উপর কুনজর পড়ে প্রতিষ্ঠানের উপপরিচাল নূরে আলম সিদ্দিকীর। বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাবে প্রত্যাখান করলে সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৭ আগষ্ট তিনি মমতার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় তিনি তার জীবননাশসহ ভিবিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করবেন বলে ভয়ভীতি দেখান। পরে মমতাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তারপর প্রতিষ্ঠানে থাকা আমার শিশু কন্যা আশা (১১) ও বোন ফৌজিয়া (১২) কে জোরপূর্বক বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় শাহপরান থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। জিডির প্রেক্ষিতে শাহপরান থানা পুলিশ তদন্ত করে ২১ অক্টোবর সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদলতে প্রতিবেদন দাখিল করে। যা গত ১ জানুয়ারি আদালতে শুনানি হয়। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে মমতা বেগম বলেন, ‘যৌন হয়রানি ও চাকরিচ্যুত হয়ে আদলতে বিচার প্রার্থী হয়েও অসহায় বোধ করছি। প্রতিনিয়ত নূরে আলম সিদ্দিকী আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনে থাকা আমার মেয়ে ও বোনের সাথে যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না । তাদের পড়ালেখাও বন্ধ করে দিয়েছে। বছরের শুরুতে উক্ত প্রতিষ্ঠানে কোন শিক্ষার্থী ভর্তি করছে না। যারা প্রতিষ্ঠানে আছে তাদে পড়ালেখা বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের জীব নহুমকির সম্মুখীন।’
মমতা বেগম শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে সুষ্ঠু পরিবেশ ও মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে এ ব্যাপারে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।