লক্ষাধিক সিলেটীদের জন্য সিলেট-রিয়াদ হতে পারে বিমানের লাভজনক রুট
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জানুয়ারি ২০১৭, ৪:৩৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশের অন্যতম বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে প্রায় ১৫ লক্ষ বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় কর্মরত আছেন। এসব প্রবাসীর মধ্যে রাজধানী শহর রিয়াদ এবং পাশ্ববর্তী এলাকায় ৬/৭ লক্ষ বাংলাদেশির বসবাস, যাদের অধিকাংশই সিলেট অঞ্চলের।
কিন্তু সিলেট-রিয়াদ রুটে সরাসরি বিমান ফ্লাইট না থাকায় দেশ ফেরত প্রবাসীরা পড়ছেন ভোগান্তিতে। তাদের ঢাকা থেকে কানেক্টিং ফ্লাইটে কিংবা ঢাকায় নেমে সড়ক যোগেই ফিরতে হয় নিজ গন্তব্যে। ফলে সরাসরি ফ্লাইট চালুর দাবি জানিয়েছেন রিয়াদে বসবাসরত এই অঞ্চলের নাগরিকরা।
তাছাড়া যাত্রী ছাড়াও সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে প্রতিদিন বাংলাদেশে যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ কার্গো। বিদেশ থেকে পাঠানো কার্গোর মালামাল ঢাকা হয়ে সিলেট পাঠানো যেমন অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়, তেমনি সময়ও লাগে অনেক বেশি। এক্ষেত্রে সিলেটে সরাসরি ফ্লাইট হলে ওই অঞ্চলের মানুষেরা কার্গোতে মালামাল পাঠাতে আরও বেশি আগ্রহী হবেন।
এদিকে, রিয়াদ-সিলেট রুট বিমানের লাভজনক রুট হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মন্তব্য, বর্তমানে ঢাকা-রিয়াদ-ঢাকা রুটে বিমানের যে যাত্রী সংকট আছেন সপ্তাহে অন্তত একটি করে ফ্লাইট সিলেটে দিলে সেই সংকট কেটে লাভজনক অবস্থায় যেতে পারবে রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থাটি।
শুধু সিলেটিরা নয়; চট্টগ্রাম অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য নাগরিকের বাসও রয়েছে সৌদি আরবে। তারাও দাবি জানিয়েছেন রিয়াদ-চট্টগ্রাম রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালুর দাবি করছেন।
প্রবাসীরা জানান, রিয়াদে বসবাসকারী প্রবাসীদের হিংসভাগই সিলেট, চট্রগ্রাম এবং এর আশপাশের। কিন্তু রিয়াদ থেকে তাদের দেশে যাওয়া আসার কোন সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় ট্রানজিট বিমানে ভ্রমণ করতে হয়। তারা বলেন, এতে করে একদিকে যেমন অর্থের অপচয় হয়, অন্যদিকে ট্রানজিট ফ্লাইট অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
সৌদি আরব প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বশির বলেন, রিয়াদ থেকে সিলেট এবং চট্রগ্রামে বাংলাদেশ বিমানের সরাসরি ফ্লাইট না থাকা এবং ঢাকা বিমানবন্দরে হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে প্রবাসীরা বাধ্য হয়ে বিদেশি এয়ারলাইন্সে দুবাই, আবুধাবী, কুয়েত, কাতার, ওমান হয়ে সিলেট বা চট্রগ্রাম ফেরেন। এতে করে সরকার যেমন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি প্রবাসীরা বিদেশি এয়ারলাইন্স নির্ভর হয়ে পড়ছেন।
বাংলাদেশি পণ্য আমদানীকারক সমিতি রিয়াদের সভাপতি কাপতান হোসেন বলেন, রিয়াদ থেকে সিলেট এবং চট্রগ্রামে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালুর দাবি দীর্ঘদিনের। সিলেটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং চট্রগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থাকা সত্ত্বেও রিয়াদ থেকে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় এ অঞ্চলের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে ঢাকা থেকে ট্রানজিট ফ্লাইটে সিলেটে যেতে কখনও ৭/৮ ঘণ্টা, আবার অনেক সময় একদিন হোটেলে রেখে তারপর ফ্লাইট দেয়া হয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রিয়াদ রিজিওনাল ম্যানেজার হেলাল উদ্দিন বলেন, সিলেট এবং চট্রগ্রাম থেকে সরাসরি রিয়াদে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য আমরা ঢাকায় দু’টি চিঠি দিয়েছি। এই রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে যাত্রী যেমন বাড়বে সেই সঙ্গে বাড়বে কার্গোও।