জগন্নাথপুরে গাছ উপড়ে ফেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ জানুয়ারি ২০১৭, ২:৫৭ পূর্বাহ্ণ

ফাইল ছবি
সুরমা নিউজ:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে গাছ উপড়ে ফেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের পাইলগাঁও গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবত পাইলগাঁও গ্রামে বসবাসকারী ছোরাব আলী ও মাহমদ আলীর পক্ষের লোকজন বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার দুপুরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন মাহমদ আলীর লোকজন। তারা ছোরাব আলীর বাড়ীর একটি রাস্তা তাদের দাবি করে ঐ রাস্তায় লাগানো গাছগুলো উপড়ে ফেলতে গেলে ছোরাব আলীর লোকজন তাতে বাঁধা প্রদান করে। এতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন।
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের লোকজনসহ সালিশী ব্যক্তি রয়ান উদ্দিন (৫২) ও শফিক মিয়া (৫০) আহত হন। আহতরা হলেন পাইলগাঁও গ্রামের ছোরাব আলীর ছেলে আদ্রিস আলী (৩০), রমিজ আলী (২৮), স্ত্রী খোদেজা বেগম (৬৫), নাতি জমির আলী (২৫)। তাদেরকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ছোরাব আলীর মেয়ে মনোয়ারা বেগম (৩৫), ছেলে সাপত আলী (২৬), মাহমদ আলীর ভাই মকদ্দুস আলী (৬৫) ও আহমদ আলী (৮০) কে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান।
ছোরাব আলীর ভাই আরব আলী (৭০) কে গুরুতর আহত হওয়ায় সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাইখুল ইসলাম জানান।
এ ব্যাপারে পাইলগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মখলুছ মিয়া জানান, জগন্নাথপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মুরসালিন সাহেবের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমি (হাজী মখলুছ মিয়া) ও সাবেক চেয়ারম্যান আপ্তাব উদ্দিন সাহেব ঐ এলাকার মুরব্বিদের নিয়ে সংঘর্ষ এড়াতে উভয়পক্ষের বাড়ীতে যাই এবং বিরোধ মীমাংসার স্বার্থে উভয়কে সালিশ মানতে আহ্বান করি। আমাদের কথামত ছোরাব আলী সালিশ মানেন এবং মাহমদ আলী সিদ্ধান্ত দিবেন বলে আমাদেরকে জানান। আমরা সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকাকালে মাহমদ আলীর লোকজনেরা গাছগুলো উপড়ে ফেলতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে সালিশী ব্যক্তিসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আমরা উক্ত বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং বিষয়টির সমাধান না আসার আগ পর্যন্ত কেউ এই জায়গায় অবস্থান না নিতে অনুরোধ জানিয়ে এসেছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মুরসালিন বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয় নি। অভিযোগ আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।