কোম্পানীগঞ্জে টিলাধস : হতাহতের ঘটনা প্রাকৃতিক!
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জানুয়ারি ২০১৭, ৫:০১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলা কেটে পাথর উত্তোলনে গর্ত ধসে শ্রমিক হতাহতের ঘটনা ‘প্রাকৃতিক’ দাবি করে পুলিশের কাছে আবেদন করেছেন নিহত পাঁচজনের পরিবারের সদস্যরা। গত বৃহস্পতিবার হলফনামা সংযুক্ত করে এমন আবেদনের পেছনে গর্ত মালিক প্রভাবশালী পাথর ব্যবসায়ীরা আছেন বলে খোদ পুলিশই সন্দেহ করছে।
গত সোমবার ভোরে দুর্ঘটনার পরপরই পুলিশকে না জানিয়ে নিহত পাঁচ শ্রমিকের মরদেহ বাড়িতে পাঠানো হয়। ঘটনা জানাজানির পর ওই দিন দুজন নিহত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশ। পরদিন মঙ্গলবার আরও তিনজনকে নেত্রকোনায় দাফন করার তথ্য মেলে। বুধবার কোম্পানীগঞ্জ থানায় এ ঘটনায় এসআই তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
মামলায় যে কাজ করলে নিশ্চিত মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে, তা জেনেও শ্রমিকদের দিয়ে এমন কাজ করানোর কারণে পাঁচজনের মৃত্যু এবং এ জন্য শ্রমিক নিযুক্তকারী শাহ আরেফিন টিলার চারজন গর্ত মালিক ও একজন শ্রমিক সরদারের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়। তাঁরা হলেন চিকাডর গ্রামের আইয়ূব আলী, সোহরাব আলী, আনজু মিয়া, চেরাগ আলী ও জাহাঙ্গীর মিয়া। মামলা হওয়ার এক দিন পরই নিহত পাঁচ শ্রমিক পরিবারের পক্ষে হলফনামা যুক্ত করে আবেদন করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, নিহত পাঁচজনের পক্ষে আবেদনকারীরা হচ্ছেন নেত্রকোনা সদরের কর্নখলা গ্রামের নিহত জহির উদ্দিনের বড় ভাই আলা উদ্দিন, একই গ্রামের নিহত আল হাদিসের বাবা আবদুর রশিদ, মাশোয়া গ্রামের নিহত আবদুল কাদিরের বড় ভাই লিটন মিয়া, কান্দাপাড়ার আবদুল কুদ্দুসের শ্যালক হবি বেগ ও নেত্রকোনার পূর্বধলার নিহত খোকন মিয়ার বড় ভাই সাজাত আলী।
হলফনামা সংযুক্ত করা আবেদনে তাঁরা গর্ত ধসে হতাহতের ঘটনা প্রাকৃতিক কারণে ঘটেছে এবং এতে তাঁদের কোনো অভিযোগ নেই বলে উল্লেখ করেছেন।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রুহুল আমিন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করাতে শ্রমিকদের বাধ্য করা ও দুর্ঘটনা ঘটিয়ে শ্রমিক হত্যার যে অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে, এর কিছু প্রমাণও পুলিশের হাতে আছে। তাই এ রকম কোনো আবেদনে তদন্ত প্রভাবিত হবে না। পুলিশ জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেবে। সূত্রঃ প্রথম আলো