সিলেটে পাথর কোয়ারিতে অভিযান : বোমা মেশিনসহ ১১টি শ্যালো মেশিন ধ্বংস
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জানুয়ারি ২০১৭, ১১:০২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারিতে অভিযান চালিয়ে একটি বোমা মেশিন ও ১১টি শ্যালো মেশিন আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে অভিযানকারী দল।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) অভিযানে নেতৃত্ব দেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাছুম বিল্লাহ।
জেলা প্রশাসন পরিচালিত আভিযানিক দল শাহ আরপিন টিলায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে একটি বোমা মেশিন ও ১১টি শ্যালো মেশিন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করে।
এ সময় জেলা প্রশাসনের এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির সদস্য ও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সাফায়াৎ মুহম্মদ শাহেদুল ইসলাম শাহ আরিপিন টিলার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন- বেলা’র সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট শাহ শাহেদা, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবির, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েছ আলম, পরিবেশ অধিদফতরের পরিদর্শক মাহবুব আহমদ এবং বিজিবির সদস্যরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোলাগঞ্জে শত শত বোমা মেশিন ও সহস্রাধিক শ্যালো মেশিন পাথর উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অভিযানের খবরে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীরা মেশিনগুলো রাতারাতি সরিয়ে নেয়।
অন্যদিকে, মাটি ধসে নিহতদের মধ্যে আরও দু’জনের পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। নিহতরা হলেন, নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা এলাকার আব্দুল কুদ্দুছ ও খোকন মিয়া।
ভোলাগঞ্জের শাহ আরপিন টিলা ধসের পর আল হাদিস ও আব্দুল কাদিরের মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) কুদ্দুস ও খোকনের পরিচয় পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
২৩ জানুয়ারি (সোমবার) ভোরে শাহ আরপিন টিলায় টিলা কেটে পাথর উত্তোলনে সময় মাটি ধসে ছয় শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তবে পুলিশ প্রশাসন থেকে দুই জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। এ নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হলে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন থেকে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির সদস্যরা মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে শাহ আরপিনটিলা ট্রাজেডির ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, হত্যা মামলায় দায়ী পাথর কোয়ারি মালিকদের আসামি করা হবে। কেননা ঝুঁকিপূর্ণ থাকার পরও তারা শ্রমিকদের কাজে লাগিয়েছিলেন।