সিলেটে নারী ও শিশুদের পর্নভিডিও তৈরির ফাঁদ, আটক ১
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬, ১১:০২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
নানা প্রলোভন দেখিয়ে ও প্রতারণার মাধ্যমে নারী ও শিশুদের পর্নভিডিও ধারণের দায়ে সিলেট নগরীর শাপলাবাগ থেকে একজনকে আটক করেছে র্যাব-৯। বৃহস্পতিবার এম কে জামান নামের এই ব্যক্তিকে আটক করা হয় বলে শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তি জানায় র্যাব।
এ সময় জামানের কাছ খেকে পাসপোর্ট, ভিসা তৈরির সরঞ্জাম, পর্নো ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করা হয় বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। আটককৃত এম কে জামান নগরীর টিলাগড় এলাকার শাপলাবাগের বাসিন্দা। উদ্ধারকৃত সরঞ্জামসহ জামানকে শাহপরান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-৯ এর এএসপি সুজন চন্দ্র সরকার সাক্ষরিত সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জামান নিজের আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীর ছোট ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন প্রলোভন, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি প্রদান করে যৌন নির্যাতন করতেন। এসময় সেগুলোর ছবি ও ভিডিও তুলে রাখতেন। ছোট বাচ্চাদের চকলেট, বিস্কুট ও বিভিন্ন লোভনীয় বস্তু দ্বারা আকৃষ্ট করে জামান এসব কাজ করতো বলে জানায় র্যাব।
র্যাবের অনুসন্ধানে ৬/৭ জন শিশুকে নির্যাতন ও ভিডিওচিত্র ধারণের সত্যতা পাওয়া গেছে বলেও জানানো হয়। কেবল শিশুরাই নয়, নারীরাও জামানের বিকৃতির হাত থেকে রেহাই পাননি।
র্যাব জানায়, নারীদের সাথে যৌন সম্পর্ক তৈরি করে সেগুলোর ভিডিওচিত্রে ধারণ করে বিভিন্ন জায়গায় বিলি করতেন।
র্যাব জনায়, জামান এ পর্যন্ত ৫টি বিয়ে করেছেন। এরমধ্যে লালমনিরহাটে থাকাকালীন ২টি ও সিলেটে তিনটি।
এছাড়া পাসপোর্টে ও ভিসা জালিয়াতির সাথেও আটককৃত জামান জড়িত বলে জানায় র্যাব।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, আশির দশকে সিলেটে শূন্য হাতে আসার পর নগরীর সুরমা মার্কেটে আর্টের দোকান দেন জামান। এরপর তিনি সম্পৃক্ত হন পাসপোর্ট ও ভিসা জালিয়াতির সাথে। পাসপোর্ট ও ভিসা জালিয়াতি করে তিনি অনেক লোককে বিদেশে পাঠিয়েছেন এবং এসব লোক বিদেশে গিয়ে নানা ধরনের বিপদে পড়েছেন। এভাবে এক পর্যায়ে অনেক টাকার মালিক বনে যান জামান। পাসপোর্ট ও ভিসা জালিয়াতির বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়ে তিনি হক সুপার মার্কেটে ১১ টি দোকান করে। নগরীর টিলাগড়ের শাপলাবাগে সে ২টি বাড়ী নির্মাণ করেন যার মধ্যে একটি বাড়ী ছয়তলা বিশিষ্ট। এছাড়াও পীরের বাজারের পাশে তিনি জমিসহ একটি বাড়ী ক্রয় করেন। ওই বাড়ির সামনে সাইনবোর্ডে তিনি ক্রয়সূত্রে জমির মালিক হিসেবে একজন ভূয়া লেঃ কর্ণেল, একজন এএসপি ও প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসাবে সে তার নিজের নাম ব্যবহার করেন।
২০১১ সালে এসএমপির কোতয়ালী থানায় জামানসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে মার্কিন দূতাবাস, ব্রিটিশ হাইকমিশন ও পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেন।