সর্দারের ভোট ব্যাংকে লুৎফুরের হানা : ওসমানীনগরের দুই প্রার্থীর লড়াই
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ৭:১৯ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ রাত পোহালেই বহুল প্রত্যাশিত সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচন। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের জন্য লড়ছেন ৪ প্রার্থী। তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ওসমানীনগরের অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান ও অধ্যক্ষ এনামুল হক সরদার। তারা দুজনেই ভোটারদের মাঝে রয়েছেন আলোচনায়।
দুজনেরই জন্মস্থান ওসমানীনগর হওয়ায় এখানকার ভোটাররা রয়েছেন বেশ দ্বিধাদ্বন্ধে। তবে অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানের প্রতি ভোটারদের রয়েছে দুর্বলতা। প্রবীন এই প্রার্থীর যে কোন পর্যায়েই এটি শেষ নির্বাচন। অন্যদিকে বিএনপি এ নির্বাচনে না থাকায় গুঞ্জন রয়েছে তাদের সমর্থিত ভোটাররা ঝুঁকে পরেছেন এনামুল হক সরদারের প্রতি । তবে লড়াইটা শেষ পর্যন্ত এ দুজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে এটা মানছেন এলাকার সর্বমহল।
জানা যায়, সরদারের শশুড়বাড়ী সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নে। তাছাড়া তিনি শিক্ষকতার সুবাদে জৈন্তাপুর এবং কানাইঘাটেও রয়েছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। সর্বোপরি বলা যায়- এসব এলাকা তার দূর্গ। প্রচারণার শেষ দিকে হানা দিয়েছেন সরদারের দূর্গ খ্যাত দুটি উপজেলায় দিনভর প্রচারনা চালান অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান।
গত রবিবার জকিগঞ্জে প্রচারণা চালান প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী লুৎফুর রহমান। আর সোমবার তিনি ছিলেন কানাইঘাটের বিভিন্ন ইউনিয়নে। আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা হিসেবে প্রচার প্রচারণা কালে অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানকেও নিরাশ করেননি ভোটাররা। প্রচারণাকালে ভোটাররা ভালোই সাড়া দিয়েছেন এই প্রার্থীকে। ফলে সরদারের দুর্গে ভালো অবস্থান করে নিয়েছেন তিনি। দুজনেই নির্বাচনে বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদী।
২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থীর মধ্যে অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান (আনারস), অধ্যাপক এনামুল হক সরদার (কাপপিরিচ), জিয়াউদ্দিন আহমদ লালা (ঘোড়া) এবং মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম (মোটরসাইকেল)।