সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক সড়ক মরণ ফাঁদে পরিণত
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ১০:২১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ
সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট এলাকা থেকে নীলপুর বাজার পর্যন্ত সড়কের দু’পাশের স্লোডারে মাটি নেই। ৬৪ কিমি. দৈর্ঘ্যরে আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ৪০ কিলোমিটারই দু’পাশে স্লোডারে মাটি না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন যাবত সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ থেকে সদর উপজেলার নীলপুর বাজার পর্যন্ত এ সড়কের প্রশস্ত ১৮ ফুট। মূল সড়কের দুই পাশে মাটির স্লোডার রয়েছে। অনেক স্থানে দেখা গেছে, এক থেকে তিন ফুট পর্যন্ত স্লোডারে মাটি দেবে গেছে। যার ফলে মূল সড়ক থেকে মাটির অংশ নিচু হওয়ার কারণে প্রায়ই বাস, ট্রাক, লরি, সাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যান, রিকশাসহ হালকা যানবাহন দুর্ঘটনায় পতিত হয়। দিন দিন বাড়ছে দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসসহ সহস্রাধিক ট্রাক, লরি সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট-ঢাকাসহ দেশের অন্য স্থানে মালামাল নিয়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে।
জয়কলস হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় অনেকের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, সড়কের দুই পাশের মাটি না থাকার কারণে গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট এলাকা থেকে নীলপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তায় চলতি বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত দশজন নিহত হয়েছেন। সম্প্রতি অক্টোবর ছাতক উপজেলার ধারন এলাকায় গাড়ি উল্টে ৩ জনের মৃত্যু হয় ও প্রায় ৩০ জন আহত হন। গাড়ি চালক জুবায়ের আহমদ বলেন, দ্রুতগতির গাড়িগুলোকে সাইড দিতে গিয়ে সড়কের পাশের জায়গা ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের অনেক স্থানেই সড়কের পাশে মাটি নেই। ফলে আমাদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের এসও মো. সালাহ উদ্দিন জানান, গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট হইতে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত সিলেট সুনামগঞ্জ মহাসড়কে সড়কের দুই পাশ বৃদ্ধির জন্য এডিবি প্রকল্পের মাধ্যমে টেন্ডার হয়ে গেছে। শিগগির কাজ শুরু হবে। সূত্রঃ যুগান্তর।