চেয়ারম্যান পদে ওসমানীনগরের দুই প্রার্থীর মধ্যই লড়াই
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ আর মাত্র ৪ দিন বাকী সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনের । চলছে শেষ মুহুর্তের প্রচারনা। ২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ প্রার্থীর মধ্য আলোচনায় রয়েছেন ওসমানীনগরের দুই প্রার্থী লুৎফুর রহমান ও এনামুল হক সরদার । মাঠের বর্তমান অবস্থায় সুবিধাজনক অবস্থানেই রয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান। এক্ষেত্রে তার পথের কাঁটা হয়ে আছেন শিক্ষাবিদ এনামুল হক সরদার। একই এলাকার এই দুই প্রার্থীর মধ্যেই শেষ পর্যন্ত লড়াই হবে তাই বলছেন ভোটার ও সচেতনমহল।
সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন এডভোকেট লুৎফুর রহমান। এ নির্বাচনে অন্য কোন রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না । এজন্য অনেকটা ফাঁকা মাঠই পেয়েছিলেন লুৎফুর রহমান। তবে তাকে সে সুযোগ দিতে নারাজ এনামুল হক সরদার। প্রবীণ রাজনীতিবিদ লুৎফুর রহমানের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবেই আবির্ভূত হচ্ছেন শিক্ষাবিদ এনামুল হক। তাদের নিজ এলাকা ওসমানীনগরের ভোটাররা রয়েছেন দ্বিধাদ্বন্ধে। তবে একটি দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছেন লুৎফুর রহমান। আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের জীবনের শেষ নির্বাচন মনে করে তার প্রতি ভোটারদের সহানুভূতি কাজ করছে বলে একটি গুঞ্জন রয়েছে।
সিলেট জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসকের দায়িত্ব পান লুৎফুর রহমান। একইসাথে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতিও বর্তে তার কাঁধে। প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ ১৯৬২ সালে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে অভিষিক্ত হন। সিলেটের রাজনীতির মাঠে স্বজ্জন ও পরিচ্ছন্ন ইমেজের রাজনীতিবিদ, সাবেক গণপরিষদ সদস্য লুৎফুর রহমান জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় ভোটব্যাংক নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিন্ত। অন্যান্য ভোটারদের নিজের দিকে টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এদিকে শিক্ষাবিদ এনামুল হক সরদার প্রগতিশীল হিসেবেও সিলেটে পরিচিত। কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। নিজের জন্মস্থান ওসমানীনগর উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের ভোট নিজের পক্ষে আসার ব্যাপারে আশাবাদী এনামুল হক। এছাড়া শ্বশুরবাড়ি জকিগঞ্জ উপজেলা, নিজের বিভিন্ন সময়ের কর্মস্থল জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলার ভোটব্যাংকে হানা দেওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তিনি। সে লক্ষ্যে বিরামহীন প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এনামুল হক। ক্লিন ইমেজের এ ব্যক্তি নির্বাচনের ডামাঢোল শুরু হওয়া থেকেই মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন, ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনী লড়াইয়ে তিনিই হতে পারেন লুৎফুর রহমানের চেয়ারম্যান হওয়ার পথের কাঁটা।
এদিকে জিয়াউদ্দিন লালা প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা। তবে রাজনীতিতে দীর্ঘদিন বিরতি পড়ায় বর্তমানে তার তেমন পরিচিতি নেই। তবে শেষপর্যন্ত মাঠে থেকে চমক দেখাতে চান এই প্রবীণ প্রার্থী। অন্যদিকে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ফখরুল ইসলামের তেমন পরিচিতি নেই। তবে দৌড়ঝাঁপ করছেন তিনিও।