সিলেটে খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ২:৫৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটে সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলায় বদরুল আলমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন স্কয়ার হাসপাতালের নিউরোসার্জন ডা. রেজাউস সাত্তার। বৃহস্পতিবার সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে তিনি সাক্ষ্য প্রদান করেন।
আদালতের এপিপি মাহফুজুর রহমান জানান, স্কয়ারে খাদিজার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা নিউরোসার্জন আজ সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। এছাড়া আদালত মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৮ জানুয়ারী তারিখ নির্ধারণ করে ওইদিন ভিকটিম খাদিজাকে আদালতে হাজির করা নির্দেশনা দিয়েছেন।
গত ৫ ও ১১ ডিসেম্বর বদরুলের বিরুদ্ধে আদালতে ৩২ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। আজ আরো ২ জন মিলিয়ে এ নিয়ে এ মামলায় ৩৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হল। মামলায় মোট ৩৬ জন সাক্ষী রয়েছেন।
এদিকে, আজকে আদালতে খাদিজাকে হাজির করার কথা থাকলেও তার শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ যাত্রার জন্য এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ছাড়পত্র দেননি। ফলে তাকে সিলেটে আনা হয়নি।
গত ৮ নভেম্বর খাদিজা হত্যা চেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট নগরীর শাহপরান থানার এসআই হারুনুর রশীদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে গত ১৫ নভেম্বর আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। গত ২৯ নভেম্বর আদালত বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। এ পর্যন্ত ৩২ জন বদরুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা বদরুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন। গত ৫ অক্টোবর বদরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। এছাড়ার ঘটনার পর শাবি থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয় বদরুলকে।