অবশেষে বাগান দখলে জালিয়াতি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ৫:৫২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
অবশেষে সমাপ্ত হলো ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি মামলায় কথিত দানবীর রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইসহ অন্যান্য আসামীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ।
বুধবার দুপুরে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে শেষ ২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার পুণরায় সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালতের অতিরিক্ত কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান।
তিনি জানান, এ মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষী ছিলেন, যাদের মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ আগেই সমাপ্ত হয়েছিলো। আজ (বুধবার) আরো দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো। তবে এ মামলার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়নি বলেও জানান এ কৌঁসুলি।
রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে জালিয়াতি মামলায় সাক্ষীদের পুণরায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় গত ৪ ডিসেম্বর। ওইদিনই প্রতারণার মাধ্যমে দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে দখলের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অপর একটি মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলেসহ ৬জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, নগরীর উপকন্ঠের তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তি দখলে নিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি স্মারক জালিয়াতিসহ নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তা দখলে নেন রাগীব আলী। স্মারক জালিয়াতি ও ভূমি দখলের এ ঘটনায় ২০০৫ সালে রাগীব আলীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেন তৎকালীন সদর উপজেলা ভূমি কমিশনার।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারী সুপ্রীম কোর্ট এক আদেশে তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর ভূমি তার সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে বুঝিয়ে দিতে বলে। এরপর দায়েরকৃত দুটি মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। গত ১০ আগস্ট জমা দেয়া এ প্রতিবেদনে রাগীব আলী, তার ছেলে আবদুল হাই, মেয়ে রুজিনা কাদির, মেয়ের জামাই আবদুল কাদির, রাগীব আলীর আত্মীয় দেওয়ান মোস্তাক মজিদ ও তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে অভিযুক্ত করা হয়।
এরপর আদালত সকলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই।
পরে দেশে প্রবেশকালে সিলেট সীমান্তে আটক হন আবদুল হাই। এবং তার পরে ভারতের করিমগঞ্জে আটক হন রাগীব আলী ও তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এ দুজনই বর্তমানে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন, এবং তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতেই এ মামলার পুণরায় সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।