সাক্ষ্য দিতে সিলেটে আসছেন না খাদিজা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬, ৫:৩০ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটের মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম মো. সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিল কলেজ ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসের। খাদিজা সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) চিকিৎসাধীন থাকায় চিকিৎসকদের পরামর্শে বৃহস্পতিবার আদালতে আনা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি জানান, পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তির পর থেকে খাদিজার শরীরে প্রতিদিনই বেশ কয়েকবার থেরাপি দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা খাদিজার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে বলেছেন শারীরিক অবস্থা এখন ভালো নয়। তাই বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত হতে পারবে না খাদিজা।
তিনি আরো জানান, ওই পুনর্বাসন কেন্দ্রের চিকিৎসকের দেয়া চিকিৎসাপত্র আদালতের সরকারী কৌশলীর মাধ্যমে তুলে ধরে সময় চাওয়া হবে।
খাদিজা বেগম নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলায় একমাত্র আসামী বদরুল আলমের বিরুদ্ধে ৩২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। মামলায় ৩৭জন সাক্ষীর মধ্যে খাদিজাসহ ৫জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারিত তারিখ আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর)।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলমের চাপাতির কোপে গুরুতর আহত হন খাদিজা। প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর সেখান থেকে ৪ অক্টোবর তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে এনে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়। স্কয়ার হাসপাতালে প্রথম দফায় খাদিজার মাথায় ও পরে হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়। তার অবস্থার একটু উন্নতি হলে লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়। এরপর আইসিইউ থেকে এইসডিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ২৬ অক্টোবর তাকে কেবিনে নেওয়া হয়। এরপর আবারো মাথায় ও হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়। অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠার পর সম্প্রতি স্কয়ার থেকে সিআরপিতে নেওয়া হয় খাদিজাকে।
হামলার দিন ঘটনাস্থল থেকে বদরুল আলম আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। আদালতে হামলার দায় স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন বদরুল। বদরুলের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকে। বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে। পরে স্থায়ী বহিষ্কার করে।