জাফলংয়ে পর্যটকদের সাথে জুয়ারিদের সংঘর্ষ : আহত ২ গ্রেফতার ৫
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ডিসেম্বর ২০১৬, ৭:৪৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজঃ সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার (১২ ডিসেম্বর) এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩টি দোকানে লুটপাট ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। হামলায় ২ ব্যবসায়ীও আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে পর্যটন কেন্দ্র বল্লাঘাটের ব্যবসায়ীরা ২ ঘণ্টা দোকানপাট বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানান।নজানা যায়, সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে ১১টি বাসে করে ৪০০ জন পর্যটক জাফলংয়ে বেড়াতে আসেন। কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খাঁনের নেতৃত্বে আসা এসব পর্যটকরা বেড়ানোর উদ্দেশ্যে জেলা পরিষদের পিকনিক সেন্টারের নিচ দিয়ে জিরো পয়েন্ট যাচ্ছিলেন। এ সময় তিন তাস চক্রের সদস্যরা এসব পর্যটকদের মধ্যে কয়েকজনের নগদ টাকা ও হাতে থাকা মোবাইল ফোন বিভিন্ন প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে নিয়ে যায়।
এ সময় সাথের অপর পর্যটকরা এসব টাকা ও মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করলে তা দিতে অস্বীকার করে এই চক্রটি। এ নিয়ে শুরু হয় উত্তেজনা, মারপিট ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। উত্তেজনার এক পর্যায়ে ৩টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে বল্লাঘাট পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবসায়ীরা সমবেত হয়ে দোকানপাট রেস্তোরা সবকিছু বন্ধ করে দেন। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন জাফলং ঘুরতে আসা শত শত পর্যটক দর্শনার্থীরা।
খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদারসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বাবুল, আমির, সোহেল রানা, আব্দুর রব ও হাসমত আলী।
ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে তিন তাস নামক জুয়ারি চক্রের সদস্যরা পর্যটকদের টাকা, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান জিনিস পত্র হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করে আসছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাদেরকে মারপিট ও মামলা হামলার ভয় প্রদর্শন করে জুয়ারিরা। সোমবারের ঘটনাও অন্যান্য দিনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
জাফলং বল্লাঘাট পর্যটন কেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি মহরম আলী জানান, পর্যটকদের সাথে হামলার ঘটনার প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা আমাদের ব্যবসায়ীদের উপর হামলা চালিয়ে ২ জনকে আহত ও ৩টি দোকানে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে থানার ওসি (তদন্ত) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান তিন তাস নামক জুয়ারি চক্রের সাথে আমাদের কোন আতাত নেই। অপরাধী যেই হউক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। পর্যটকদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের সাড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৪ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাহ উদ্দিন।