অনুমতি পেলে বৃহস্পতিবার সিলেট আসবেন খাদিজা
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ডিসেম্বর ২০১৬, ২:১০ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটে কলেজছাত্রী খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার পরবর্তী স্বাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আগামী ১৫ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছেন সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। এদিন স্বাক্ষ্য দেয়ার জন্য আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে খাদিজা বেগম নার্গিসকে।
তবে রাজধানীর সিআরপিতে চিকিৎসাধীন খাদিজা ঐদিন আদালতে হাজির হতে পারবেন কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ডাক্তারের পরামর্শের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে খাদিজার স্বজনদের।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) এসব কথা জানিয়েছেন খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া।
মাসুক মিয়া বলেন, “আজ (সোমবার) রাতে আমি সিলেট থেকে ঢাকায় যাবো। সেখানে খাদিজার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডাক্তারের সাথে কথা বলবো এ ব্যাপারে। ডাক্তার অনুমতি দিলে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) আদালতে স্বাক্ষ্য দেওয়ার জন্য খাদিজাকে সিলেট নিয়ে আসবো। আর অনুমতি না পেলে আমরা সময় বাড়ানোর জন্য আদালতের নিকট আবেদন জানাবো। সবকিছুই এখন নির্ভর করছে খাদিজার চিকিৎসকের মতামতের ওপর।”
গতকাল রোববার (১১ ডিসেম্বর) এই আলোচিত মামলায় খাদিজার বাবা মাসুক মিয়াসহ ১৫ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়। স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন সিলেট মহানগর মূখ্য হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো। ঐদিন খাদিজাকেও আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় মোট সাক্ষী ৩৭ জন। এর মধ্যে খাদিজা এই মামলার ২য় সাক্ষী।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলমের চাপাতির কোপে গুরুতর আহত হন খাদিজা। প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর সেখান থেকে ৪ অক্টোবর তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে এনে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়। স্কয়ার হাসপাতালে প্রথম দফায় খাদিজার মাথায় ও পরে হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়। তার অবস্থার একটু উন্নতি হলে লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়। এরপর আইসিইউ থেকে এইসডিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ২৬ অক্টোবর তাকে কেবিনে নেওয়া হয়। এরপর আবারো মাথায় ও হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়। অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠার পর সম্প্রতি স্কয়ার থেকে সিআরপিতে নেওয়া হয় খাদিজাকে।
হামলার দিন ঘটনাস্থল থেকে বদরুল আলম আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। আদালতে হামলার দায় স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন বদরুল। বদরুলের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকে। বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে। পরে স্থায়ী বহিষ্কার করে।