সিলেটে আনোয়ার চৌধুরীর উপর গ্রেনেড হামলা : মুফতি হান্নানসহ ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ৭:৪৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজঃ বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে সর্বোচ্চ আদালত। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে ওই তিন জঙ্গির আপিল খারিজ করে দেন। এতে তিন আসামি মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার ওরফে রিপনের ফাঁসির দণ্ড বহাল থাকলো।
তবে তারা আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ পাবেন। আর তাতেও নাকচ হয়ে গেলে ফাঁসির দণ্ড কার্যকরের আগে শুধু অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন।
এই তিন আসামির মধ্যে আপিলকারী মুফতি হান্নান ও বিপুলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আলী। আর রিপনের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা।
এর আগে গত ১৫ নভেম্বর এ মামলায় মুফতি হান্নানের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টে বহাল থাকা মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে মুফতি হান্নানসহ দুই আসামির করা আপিলের ওপর গত ৩০ নভেম্বর শুনানি শুরু হয়।
২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর এ মামলায় আসামিদের মধ্যে মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং হান্নানের ভাই মহিবুল্লাহ ও মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন সিলেটের একটি আদালত। ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল শুনানি শেষে চলতি বছর ৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মুফতি হান্নানসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখেন।
হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত ২৮ এপ্রিল প্রকাশ হয়। পরে ১৪ জুলাই হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে আপিল করেন মুফতি হান্নান। সেই আপিল শুনানি শেষেই রায়ের জন্য এদিন নির্ধারণ করা হয়।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রা.) মাজারে তত্কালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন। ঘটনার দিন অজ্ঞাতপরিচয় আসামির বিরুদ্ধে মামলা করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
মামলার তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই মুফতি হান্নানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এর পর সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের নাম অন্তর্ভুক্ত করে অভিযোগ গঠন করা হয়।