আজ ৬ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গল মুক্ত দিবস
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ১০:২৮ অপরাহ্ণ
তোফায়েল আহমেদ পাপ্পু, শ্রীমঙ্গল থেকে:
আজ ৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার শ্রীমঙ্গল মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল মুক্ত হয়েছিল। ১৯৭১ সালের এই দিনে লড়াকু মুক্তিযোদ্বারা মরন পন লড়াইন করে হানাদার বাহিনীকে শ্রীমঙ্গল থেকে হটিয়ে শত্রুমুক্ত করেছিল। তবে এর আগে হানাদার বাহিনীর সাথে লড়াই করে নিহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্বা। জানা যায় ৩০ এপ্রিলের পর থেকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ৫ ডিসেন্বর পর্যন্ত- শ্রীমঙ্গলে হত্যা করেছিল অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধাসহ অসংখ্য নীরঅপরাধ নারী পুরুষদের। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে সূচিত অসহযোগ আন্দোলন শ্রীমঙ্গলে তীব্র রূপ নেয়। অফিস-আদালতসহ শ্রীমঙ্গলের চা শিল্পে সৃষ্টি হয় অচলাবস্থা।
দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ চলা কালে শহর ও শহরতলীর কলেজ রোড ভাড়াউড়া চা বাগান, বিডিআর ক্যাম্প সংলগ্ন সাধুবাবার গাছতলা ,সিন্দুরখান, সবুজবাগ ও পুর্বাশা সহ কয়েক টি স্থানকে বধ্যভুমিতে পরিণত করে জায়গায় শত শত নীর অপরাধ মানুষকে হত্যা করেছিল দেশীয় রাজাকারদের সহায়তায় হানাদার বাহিনী। এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মরনপন লড়াই ও ভারতের সীমান- থেকে মুক্তি বাহিনী ক্রমশ ক্যাম্প অভিমুখে এগিয়ে আসার খবরে পাক বাহিনী ভীত হয়ে পড়ে। অবস্থার বেগতিক দেখে ৬ ডিসেন্বর ভোরে তারা পালিয়ে মৌলভীবাজরে আশ্রয় নেয়। এবং একরকম বিনা যুদ্ধেই মুক্ত হয় শ্রীমঙ্গল শহর।
উড়ানো হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। ৬ ডিসেম্বর থেকে মুক্তি যোদ্ধারা দেশে আসতে শুরু করেন এবং তারা মৌলভীবাজার অভিমুখে এগিয়ে গেলে ৮ ডিসেম্বর পাক বাহিনী মৌলভীবাজার থেকেও পালিয়ে যায়। এদিকে মুক্তিযোদ্ধারা দেশে এসে ঝাপিয়ে পড়ে ছিলেন সেই অসংখ্য মা বোনের ইজ্জত লুন্টনকারী ও শত শত মানুষকে হত্যাকারী রাজাকার আলবদর ও তাদের দোষরদের শাসি-র কাজে। কিন’ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাও আওয়ামীলীগের কয়েক নেতার বাধার মূখে ছাড়া পেয়ে যায় অনেক রাজাকার।