সিলেটে প্রকাশ্যে খুন : অপরাধীরা চিহ্নিত, এক সপ্তাহেও ধরা পড়েনি খুনী
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ১২:৪৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
জিন্দাবাজারে প্রকাশ্যে খুন হওয়া মিসবাহ উদ্দিনের খুনীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরও এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ঘটনার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হয়ে চললেও এখনো এ হত্যাকান্ডের তেমন কোন অগ্রগতি নেই। অবশ্য পুলিশের দাবি, তারা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামীকে চিহ্নিত করেছে। তাদের ধরতে অভিযানও অব্যাহত রয়েছে।
ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী একটি মার্কেটের সিসি ক্যামেরায় কিভাবে মিসবাহকে হত্যা করা হয় এর দৃশ্য ফুটে উঠেছে।
ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে সংশ্লিষ্টরা জানান, ‘অতর্কিত আক্রমণে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে পড়ে ছটফট করছেন এক যুবক। হামলার পর রক্ত মাখা চাপাতি ডান হাত থেকে বাঁ হাতে নিয়ে মুছতে মুছতে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাচ্ছে ঘাতক। তার পিছু পিছু পালাচ্ছে আরও পাঁচ সহযোগী।’
গত ২৬ নভেম্বর রাতে জিন্দাবাজারের কাস্টমস অফিসের সামনের রাস্তায় চাপাতি দিয়ে মিসবাহ উদ্দিনকে কোপায় দুর্বৃত্তরা। হত্যাকান্ডের পরদিন তার মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে কবির নামের একজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় পাঁচজনকে আসামী করে সিলেট কোতোয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
কোতোয়ালী থানার ওসি সুহেল আহমদ জানান, হামলাকারীকে চিহ্নিত করা গেছে। মামলার একমাত্র এজাহার নামীয় আসামী কবির আহমদই। তার বাড়ি দক্ষিণ সুরমার বলদি গ্রামে। কবির জিন্দাবাজারের কাজী ম্যানশনের একটি দরজি দোকানের প্রশিক্ষণার্থী কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলো। ওসি জানান, কবির ও তার সহযোগীদেরও চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব আইনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।
মিসবাহ সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার চন্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা হলেও মা ও তিন বোনকে নিয়ে নগরীর মজুমদারি এলাকায় বসবাস করতেন। বাবা-মা’র চার সন্তানের মধ্যে একমাত্র পুত্র সন্তান ছিল সে। তার বাবা রহমত উল্লাহ জার্মান প্রবাসী। ২০১৪ সালে সিলেট কমার্স কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে জার্মানি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মিসবাহ।