ফেঞ্চুগঞ্জে কৃষক পরিবার নিয়ে ষড়যন্ত্র, বাঁচতে প্রশাসনের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ ডিসেম্বর ২০১৬, ৮:৩০ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
ফেঞ্চুগঞ্জে প্রভাবশালীদের ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচতে প্রশাসনের প্রতি সহযোগিতা চেয়ছেন ফেঞ্চুগঞ্জের গয়াসী গ্রামের কৃষক মোঃ আছকর আলী। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। এর জবাবে আছকর আলী বলেন আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমুলক। আমি একজন নিরীহ সাধারন কৃষক। কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেঞ্চুগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। আছকর আলীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ছোট ভাই আব্দুস শহীদ।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সম্প্রতি গয়াসী গ্রামের কয়েকজন লোক আমার নাম উল্লেখ করে, আমার বিরুদ্ধে- প্রশাসন ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। স্মারক লিপিতে তারা অভিযোগ করেছেন, নানা ষড়যন্ত্র ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভূমি আত্নসাত করার ষড়যন্ত্রে আমি লিপ্ত রয়েছি।
গয়াসী গ্রামে বসবাসকারী সংখ্যালঘু মুসলিম হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন যাবত গয়াসী মৃত গুরুচরণ বিশ্বাসের পরিবার অর্থ বিত্ত ও শক্তিতে বলিয়ান হয়ে গুরুচরণ বিশ্বাসের পুত্র সত্য কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে আমাকে গয়াসী গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিতে উড়ে পড়ে লেগেছে।
সত্য কুমার বিশ্বাসের কাছে কিছু জমি বিক্রি করার পর তার চাহিদা মতো জায়গা বিক্রি না করার কারণে আমার বিরুদ্ধে তার অনুগত লোকজন দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। আমার খড়ের ঘরে অগ্নিসংযোগ করে আমাকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
সত্য কুমার দাসের সহযোগি হিসাবে গ্রামের নিশি বিশ্বাস,সুব্রত বিশ্বাস,নরেন্দ্র বিশ্বাস,পলাশ বিশ্বাস,ঝন্টু বিশ্বাস,বীরেন্দ্র বিশ্বাস,শীতেষ বিশ্বাস, সুবল বিশ্বাস ও হীরেন বিশ্বাসের নাম উল্লেখ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো অভিযোগ করেন, উল্লেখিত ব্যত্তিরা গ্রামে অন্যায় অত্যাচারসহ পরের লিজকৃত জমি থেকে জোরপূর্বক ধান কেটে নিয়ে যায়। তারা গ্রামের প্রভাবশালী হওয়ার কারণে মানুষ তাদের বিরুদ্ধে ভয়ে কথা বলে না। বিশেষ করে নিশি বিশ্বাস ও সুবল বিশ্বাসের চলাফেরা সন্দেহজনক। তারা কি কাজ করে গ্রামের মানুষ জানেনা। সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী কোন কর্মকান্ডের সাথে তারা জড়িত কিনা তাদের সন্দেহজনক চলাফেরা আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করেন।
গয়াসী গ্রামে ১০৫ পরিবারের মধ্যে ৩ পরিবার মুসলিম উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রামে বাসবাসকারী সংখ্যালঘু মুসলিম হওয়ার কারণে আমার বিরুদ্ধে আমার ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে সত্য কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে একদল উশৃংখল যুবক রয়েছে যারা যে কোন সময় আমার প্রাণনাশ সহ আমার সহায় সম্পদের ক্ষতিসাধনের আশংকা প্রকাশ করে তিনি প্রধানমন্ত্রী,স্বরাষ্টমন্ত্রীসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে বিনীত অনুরোধ জানান। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি নিরীহ শান্তিপ্রিয় কৃষক। আমি কারোর বিরুদ্ধে কখনো হয়রানীর উদ্দেশে মামলা করিনি। আমার নামে কোন জমির লিজ ও নেই। সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ মাখন মিয়া,মোঃ শফিক মিয়া ও আব্দুস শহীদ।