বালাগঞ্জে কোটি টাকার অডিটরিয়ামটি এখন গণশৌচাগার !
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ নভেম্বর ২০১৬, ৭:২৬ অপরাহ্ণ
শামীম আহমেদঃ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বালাগঞ্জ এমএ খাঁন অডিটরিয়ামটি এখন গণশৌচাগারে পরিণত হয়েছে। উদ্ভোধনের পর থেকে ব্যয় বহুল এই অডিটরিয়ামটি অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের অনিয়ম-দুর্নীতির ফলে নির্মান কাজ শেষ হওয়ার পর থেকেই ভবনের একাধিক স্থানে ফাঁটল দেখা দেয়। টুকরো-টুকরো হয়ে ছুটে পড়ছে প্লাষ্টার। বর্তমানে এটি জনসাধারনের কোন উপকারে আসছেনা। উদ্ভোধনের পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন ধরনের পেইন্টিংয়ের কাজও করা হয়নি। পূরনো রং ও চুকাম খঁষে-খঁষে পড়ছে। ভিতরের আসবাবপত্র গুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ভিতর-বাহিরে লাইটিং ব্যবস্থা নেই। হল রোমের ভিতরের মূল্যবান জিনিস পত্রগুলো চুরি হয়ে গেছে। ২০০৫ সালে ২৯ অক্টোবর অডিটরিয়ামটির পূর্নঃনির্মাণ কাজের উদ্ভোধন করা হয়। সিলেট জেলা পরিষদের মাধ্যমে এক কোটি টাকা ব্যয়ে এই অডিটরিয়ামের পূনঃনির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সীমানা প্রাচীর (পাকা বাউন্ডারী) দেয়া হয়।
সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে- অডিটরিয়ামটির চারপাশে ঝোপ-জঙ্গল ও ডোবা থাকার কারনে অপরিছন্ন অবস্থায় পড়ে আছে। অডিটরিয়াম লাগোয়া বাস ও সিএনজি স্ট্যান্ডে অবস্থানরকারী লোকজন ও যাত্রী সাধারন বাউন্ডারীর ভিতরে প্রবেশ করে প্রাকৃতিক কার্য সম্পাদন করায় এটি এখন গণশৌচাগারে পরিণত হওয়ায় এখানে এক দুর্গন্ধময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। দু’টি ফটকের মধ্যে মূল ফটকের প্রবেশদ্বারের অর্ধেক অংশ জুড়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধ ভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মান করে বেশ কয়েক বছর ধরে স্থায়ীভাবে ব্যবসা-বানিজ্য পরিচালনা করে আসছে। এর মধ্যে দখলদাররা অলিখিত ভাবে একটি দোকান কোটা ভাড়া দিয়েছে এবং টিন শেডের আরও একটি দোকানের অর্ধেক অংশ একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রি করে দিয়েছে। দোকান গুলোতে অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগও দেয়া হয়েছে। অন্য একটি ফটক ও সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে বসানো হয়েছে আরও কয়েকটি উপরি দোকান। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, অডিটরিয়ামটির প্রধান সমস্যা হচ্ছে শব্দ দূষণ। শব্দ দূষনের কারনে হল রোমের ভিতরে অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়না। মাইক অথবা সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করলে ভিতরে খুবই বিরক্তির পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া ছোট মাইক বা স্পীকার লাগিয়ে অনুষ্ঠান করতে চাইলে অতিমাত্রায় প্রতিধ্বনির ফলে কোন কিছুই বুঝা যায় না। এতে মানুষজন অতিষ্ট হয়ে পড়েন। এতো সমস্যার মধ্যেও অডিটরিয়ামের হল ভাড়া ২হাজার টাকা ধায্য রয়েছে। মাঝে-মধ্যে দু’একটি অনুষ্টান হলেও কথিপয় কর্মকর্তাদের কারনে হল ভাড়ার টাকা সরকারী কোষাগারে জমা করা হয়না বলে বিশ^স্থ সুত্র গুলো নিশ্চিত করেছে। আবার ভাল পরিবেশ না থাকায় এবং হল ভাড়া বেশী হওয়ায় অনুষ্টানের জন্য অডিটরিয়ামটি কেউ ভাড়া নিতে আগ্রহী হননা। এবিষয়ে সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল আহাদের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন, অডিটরিয়ামের ভুমি দখল ও অন্যান্য সমস্যার বিষয়ে আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।