ইউরোপিয় ইউনিয়নের বাইরে বানিজ্যিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশই ভরসা ব্রিটেনের
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:২৩:২৯,অপরাহ্ন ৩০ নভেম্বর ২০১৬
লন্ডন অফিসঃ ইউরোপিয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাইরের দেশের সাথে বাণিজ্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশকেও সম্ভাবনাময় গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করছে যুক্তরাজ্য। এ কারণে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে দেশটি বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। গত মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিন্ম কক্ষ হাইজ অব কমন্সের নিয়মিত অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক দফতরের প্রতিমন্ত্রী অলোক শর্মা।
মঙ্গলবার হাইজ অব কমন্সে পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক নিয়মিত প্রশ্নোত্তর পর্বে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের এমপি ম্যাগি থ্রোপ প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক মূল্যায়ন কী? গত রবিবার বাংলাদেশি ব্যবসাসীদের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উল্লেখ করে ম্যাগি আরো বলেন যে, ইইউর বাইরের দেশগুলোর সাথে যুক্তরাজ্য বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী করা উচিত বলে মন্ত্রী মনে করেন কি-না? জবাবে প্রতিমন্ত্রী অলোক শর্মা বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ঘনিষ্টতার কথা উল্লেখ করে বলেন, দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে সর্ববৃহত ক্রমসঞ্চিত বিনিয়োগকারী (কিউমিউলেটিভ ইনভেস্টর) দেশ এবং সবচেয়ে বড় দ্বি-পাক্ষিক অনুদান দাতা। তিনি আরও বলেন, প্রায় পাঁচ লাখ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষ যুক্তরাজ্যে বসবাস করছে এবং অর্থনীতিতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উৎসাহ দিতে যুক্তরাজ্য সরকারের আরও বেশি এগিয়ে আসা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অপর এক প্রশ্নে স্কটিশ ন্যাশানালিস্ট পার্টির (এসএনপি) এমপি লিসা ক্যামেরন বলেন, ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের ভয়াবহ ঘটনা স্বত্ত্বেও সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে ভবনের কাঠামোগত ক্রটির সুরাহা অসম্পূর্ণ রয়েছে বলে উঠে এসেছে। ভবনগুলোতে অগ্নি দূর্ঘনায় দ্রুত বের হওয়ার জরুরি পথ (ফায়ার এক্সিট) এবং অগ্নি সংকেত (ফায়ার এলার্ম) নেই। বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কাজ করছে এমন শ্রমিকদের কর্মপরিবেশের নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনা হয়েছে কি-না সে বিষয়ে জানতে চান এই এমপি।
জবাবে বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেক করে প্রতিমন্ত্রী অলোক শর্মা বলেন, যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক উন্নয়ন বিষয়ক দফতরের (ডিএফআইডি) কর্মকর্তারা এই বিষয়টিতে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকার এসব বিষয়কে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে বলে তিনি জানান।