এমপি কেয়া চৌধুরীর আবেদনে সিলেটের ৪ জন নারী মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ নভেম্বর ২০১৬, ৬:১০ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজঃ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার নারী মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে হবিগঞ্জ-সিলেটের সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী আবেদনের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করা হয়। তাদের মধ্যে সিলেট বেতার কন্ঠযোদ্ধা শিবগঞ্জ খরাদীপাড়ার বাসীন্দা মোছাঃ রোকেয়া বেগম ও ফেঞ্চুগঞ্জ ওয়াপদা বশির কলনীর (শহীদ জায়া মাষ্টার ছোয়াব আলী খান) এর স্ত্রী বীরকন্যা মোছাঃ জ্যোৎস্না বেগম, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও গ্রামের বীরকন্যা মোছাঃ মনোয়ারা বেগম, মৌলভীবাজার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বীরকন্যা মোছাঃ মিনারা বেগমের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হয়। আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী এমপি জননেতী শেখ হাসিনার সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত গেজেটের কপি নিজ হাতে পৌছে দেন সিলেট বেতার কন্ঠযোদ্ধা শিবগঞ্জ খরাদীপাড়ার বাসীন্দা মোছাঃ রোকেয়া বেগম ও ফেঞ্চুগঞ্জ ওয়াপদা বশির কলনীর (শহীদ জায়া মাষ্টার ছোয়াব আলী খান) এর স্ত্রী বীরকন্যা মোছাঃ জ্যোৎস্না বেগমের হাতে। র্দীঘ ৪৪ বছর পর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়ে মোছাঃ রোকেয়া বেগম ও বীরকন্যা মোছাঃ জ্যোৎস্না বেগম অশ্রুসিক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতঞ্জা জানান। এ সময়ে আওয়ামীলীগের নারী সাংসদ কেয়া চৌধুরী বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের লক্ষ হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলা। আমরা আওয়ামীলীগের কর্মী হিসেবে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে তৃপ্তিভরা হাসি দেখতে চাই। উল্লেখ্য কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীর কন্যা কেয়া চৌধুরী (চেতনা-৭১ হবিগঞ্জের মাধ্যমে ২০০৯ সালে আবেদনের প্রেক্ষিতে, হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৬ জন নির্যাতিতা নারী ২০১৩ সালের ১৮ই ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গেজেট প্রকাশের প্রথম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হন। তারা হলেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মালতি রানী, পুষ্পরানী শুক্লবদ্য, হীরা মনি সাওতাল (২০১৬ সালের ৪ঠা মাচ প্রয়াত), চা-শ্রমিক সাবিত্রী নায়েক, শায়েস্তাগঞ্জের রাজিয়া খাতুন, বানিয়াচং এর ফারিজা খাতুন।