সিরিয়ায় অস্ত্র কেনার টাকা প্রেরণের অভিযোগে চার ব্রিটিশ বাংলাদেশীর বিচার শুরু
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ নভেম্বর ২০১৬, ৮:০৫ অপরাহ্ণ
লন্ডন অফিসঃ যুদ্ধবিধ্বস্থ সিরিয়ায় শিশুদের জন্য খাদ্য ও ঔষধ সামগ্রী পাঠানোর নামে উগ্রবাদী সন্ত্রাসীর কাছে অর্থ প্রেরনের অভিযোগে চার ব্রিটিশ বাংলাদেশী বিচারের সম্মুখীন হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা চ্যারিটি কনভয়কে কাভার হিসাবে ব্যবহার করে আল কায়েদার জাবাত নুসরা ফ্রন্টের সাথে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তির কাছে অস্ত্র কেনার জন্য নগদ সাড়ে চার হাজার পাউন্ড প্রদান করেছেন।
এছাড়া ঐ চার ব্যক্তি যুদ্ধবিধ্বস্থ সিরিয়ায় রাত্রীকালীন যুদ্ধ পরিচালনায় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ গঠনেরও পরিকল্পনা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ওল্ড বেইলি কোর্টে শুনানি চলাকালে এসব অভিযোগ সম্পর্কে তথ্য উঠে এসেছে। অভিযুক্ত গ্রুপটি ব্রিটিশ বাংলাদেশী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। গ্রুপের প্রধান সৈয়দ হক(৩৭) ও তার স্ত্রী নাজিয়া খানম ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশ থেকে ফেরার পথে হিথ্রো বিমানবন্দরে তল্লাশীর শিকার হলে এসব বেরিয়ে আসে। সৈয়দ হকের হোয়াটসআপ বার্তা নিরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি সিরিয়ায় আল কায়েদার হয়ে যুদ্ধে থাকা মোহাম্মদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করেছেন। তিনি সম্পর্কে সৈয়দ হকের ভাগনা। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সে কায়রোর উদ্দেশ্য ব্রিটেন যায়। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে তার ব্রিটেন ফেরার কথা থাকলেও সে আর ফেরেনি চলে যায় সিরিয়ায়।
মামলার শুনানিতে বলা হয়, সৈয়দ হকের সাথে মোহাম্মদ চৌধুরীর হোয়াটস আপে বার্তা বিনিময় হয়েছে কিভাবে অর্থ প্রেরন করা হবে এবং তা দিয়ে কি কি অস্ত্র কেনা হবে।
এই ঘটনায় স্টক এন টেন্ট এর সৈয়দ হকের সাথে অভিযুক্ত আরো তিন ব্যক্তি হচ্ছেন পুর্ব লন্ডনের বাসিন্দা মাসুদ মিয়া(২৭) ও মোহাম্মদ হোসাইন (৩০) এবং পারভেজ রফিক নামের অপর একজন। তবে অভিযুক্ত চারজনই তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন।
মামলার প্রসিকিউটর অ্যানাবেল ডারলো কিউসি বলেন, আসামীরা যুক্তরাজ্য থেকে সিরিয়ায় অর্থ পাচারের জন্য চ্যারিটি কনভয়কে ব্যবহার করেছেন। চ্যারিটির সহায়তা সামগ্রী ব্রিটেনে প্রেরনের এই প্রক্রিয়াটি অবৈধ ছিলনা বলে উল্লেখ করে প্রসিকিউটর বলেন, অভিযুক্তরা সন্ত্রাসীর কাছে অর্থ প্রেরনের জন্য চ্যারিটি মাধ্যমকে অত্যান্ত দক্ষতার সাথে ব্যবহার করেছে। মামলার শুনানি অব্যাহত রয়েছে। অচীরেই রায় হবে।