ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সাড়ে ৩ মাস পর গ্রেপ্তার হলেন রাগীব আলী
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ নভেম্বর ২০১৬, ২:৪৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতি ও প্রতারণা করে সিলেটের দুই হাজার কোটি টাকার দেবোত্তোর সম্পত্তি তারাপুর চা বাগান দখলের অভিযোগে করা দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সাড়ে ৩ মাস পর গ্রেপ্তার হলেন সিলেটের কথিত দানবীর রাগীব আলী।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) করিমগঞ্জে তাকে আটক করেছে ভারতের ইমিগ্রেশন পুলিশ। জানা গেছে, আজ বিকেলের মধ্যেই তাকে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে।
জালিয়াতি ও প্রতারণার দুটি মামলায় গত ১০ আগস্ট রাগীব আলী ও তার একমাত্র ছেলে আবদুল হাইসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। পরোয়ানা জারির দিনই সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে গোপনে সপরিবারে ভারত পালিয়ে যান তিনি।
এরপর রাগীব আলীর মালিকানাধীন স্থানীয় সংবাদপত্র দৈনিক সিলেটের ডাক’র প্রকাশক ও সম্পাদক পদে থাকাকে অবৈধ দাবি করে দায়েরকৃত অপর একটি মামলায়ও পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে আদালত। গত ১২ নভেম্বর সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় রাগীব আলীর ছেলে আব্দুল হাইকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ। আব্দুল হাই বর্তমানে কারাগারে আছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, সিলেটের পাঠানটুলা এলাকার দেবোত্তর সম্পত্তি তারাপুর চা-বাগান পুরোটাই দখল করেন রাগীব আলী। ১৯৯০ সালে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে ৪২২ দশমিক ৯৬ একরের বাগানটির দখল নেন তিনি।
এ ঘটনায় দায়েরকৃত দুটি মামলায় গত ১০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারোয়ার জাহান। অভিযোগপত্রে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির ঘটনায় রাগীব আলী ও ছেলে আবদুল হাইকে আসামি করা হয়। আর প্রতারণার অপর মামলায় রাগীব আলী, তারাপুর চা-বাগানের সেবায়েত পংকজ কুমার গুপ্ত, রাগীব আলীর আত্মীয় মৌলভীবাজারের রাজনগরের বাসিন্দা দেওয়ান মোস্তাক মজিদ, রাগীব আলীর ছেলে আবদুল হাই, জামাতা আবদুল কাদির ও মেয়ে রুজিনা কাদিরকে আসামি করা হয়।
আসামিদের মধ্যে সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত। আর দেওয়ান মোস্তাক মজিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। গত ১২ নভেম্বর একই মামলায় আব্দুল হাইকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বাকীরা এখনো পলাতক রয়েছেন।