প্রধানমন্ত্রীর সিলেট আগমন উপলক্ষে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মধ্য উৎসবের আমেজ
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ নভেম্বর ২০১৬, ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে গোটা সিলেট বিভাগের আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মধ্য উৎসবের আমেজ পরিলক্ষিত হচ্ছে। সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম ঘটাতে উপজেলায় উপজেলায় প্রস্তুতি সভা ও নগরীকে সাজানো হচ্ছে নতুন সাঁজে। নাওয়া খাওয়া ভুলে চাঙ্গা নেতাকর্মীরা জনসভাকে সফল সুন্দর করতে কাজ করছেন দিন রাত।
দলীয় নেতাকর্মীসহ সচেতন মহল মনে করছেন, সিলেট সরকারি আলীয়া মাদরাসা মাঠে ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাটি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী জনসভায় রূপ নিচ্ছে । এ নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ২ বছর বাকি। সম্প্রতি দলের জাতীয় কাউন্সিলও হয়েছে। কাউন্সিলশেষে সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলটি নিজেদের ঘর গোছাতে চায়। কেন্দ্র থেকে দলীয় নেতাদেরও এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ কারণে সিলেটের জনসভা ঘিরে নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন।
আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি গঠনের পর দলের সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন শুক্রবার প্রথম সিলেট সফর করেন। ওইদিন তিনি সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পৃথক বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন। দুইটি সভায়ই তার বক্তব্যের মূল সুর ছিল সংসদ নির্বাচন ঘিরে। শুক্রবার রাতে নগরীর গুলশান সেন্টারে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আহমদ হোসেন বলেন, পুণ্যভ‚মি সিলেট থেকেই নতুন করে দলের কার্যক্রম শুরু করছে আওয়ামী লীগ। আগামীতে সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে দলের প্রার্থীদের জয়ী করতে এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে। সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের এখন থেকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দলের কেন্দ্রীয় টিম মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কার্যক্রমের ওপর খেয়াল রাখছে। একই দিন জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায়ও তিনি আগামী নির্বাচনে সিলেটের ১৯টি আসন শেখ হাসিনাকে উপহার দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সিলেটের সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা জনগণ থেকে দূরে সরে থাকেন, তারা আগামীতে মনোনয়ন বঞ্চিত হতে পারেন। কাজেই যারা নির্বাচনে যেতে আগ্রহী জনতার পাশে থেকে তাদের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে হবে। দ্বন্দ্ব নয়, সংঘাত নয়, মানুষকে ভালোবেসে দলীয় কার্যক্রম চালাতে হবে। আহমদ হোসেনের এ বক্তব্যকে আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য একটি মেসেজ বলেও বর্ণনা করেন দলের নেতাকর্মীরা।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ জানান, দলের জাতীয় কাউন্সিলের পর সিলেটে প্রথম আওয়ামী লীগের জনসভা হচ্ছে। এ কারণে সিলেটের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এ জনসভা নির্বাচনী জনসভা কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে আসাদ উদ্দিন বলেন, দল গোছানোর জন্য কেন্দ্রীয় টিম শিগগিরই সারা দেশ সফর করবে। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনও বেশি দূরে নয়। জাতীয় নির্বাচন এবং দল গোছানোই এ জনসভার মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এবারের সফরসূচিতেও শেখ হাসিনার সিলেটের দুই প্রখ্যাত ওলির মাজার জিয়ারতের কর্মসূচি রয়েছে। পাশাপাশি দেশে আগাম নির্বাচন নিয়েও কিছুদিন ধরে কথাবার্তা হচ্ছে। এ থেকেই দলের নেতাকর্মী এবং সচেতন মহল মনে করছেন, এটি হয়তো শেখ হাসিনার নির্বাচনী জনসভা হতে পারে।