মাথায় এখনো ব্যাথা করে, তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়েই বাড়ি ফিরতে চাই -খাদিজা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ নভেম্বর ২০১৬, ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিস ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তিনি এখন সবার সাথে স্বাভাবিকভাকে কথা বলতে পারছেন। এছাড়াও হুইল চেয়ারে নিজে নিজে বসতে পারছেন। তবে এখনো তিনি হাটতে পারছে না। শুক্রবার রাতে স্কায়ার হাসপাতালে গিয়ে এমনটাই জানা গেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, খাদিজা বিছানায় বসে টিভি দেখছেন। তার বাবা ও মায়ের সাথে গল্প করছেন। এছাড়াও মাঝে মাঝে মোবাইল ফোনে তিনি সিলেটে থাকা স্বজনদের সাথে কথা বলছেন। তাদের সাথে কথা বলার ফাঁকে ওই প্রতিবেদকের সাথেও কথা বলেন তিনি।
খাদিজা বলেন, তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে চান। সুস্থতার জন্য তিনি সবার কাছে দোয়াও চেয়েছেন।
শারীরিক অবস্থা সম্পের্কে জানাতে চাইলে খাদিজা বলেন, মাথায় এখনো ব্যাথা করে। তবে তিনি হাত-পা নাড়াতে পারেন।
খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া জানান, খাদিজাকে এখন স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘুম পাড়ানো হয়। ভোর ৬টার দিকে তাকে ওঠানো হয়। নাস্তা ও ওষুধ খাওয়ানোর পরে টিভি ছেড়ে দেয়া হয়। এ সময় তিনি টিভিতে কোরআন তেলাওয়াত শোনেন। পরে সকাল ১০টার দিকে খাদিজাকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে ঘুরানো হয়।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে মাসুক মিয়া বলেন, আগামী ২৩ নভেম্বর তাকে সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজডে (সিআরপি) পাঠানোর কথা রয়েছে। তবে খাদিজা পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ার আগে তাকে নিয়ে বাড়ি যাবেন না বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, খাদিজা এখন সবার সাথে কথা বলতে পারে। প্রতি দিন মোবাইল ফোনে স্বজনদের সাথে কথা বলানে হয়। সেও কথা বলতে পছন্দ করে।
খাদিজার শারীরিক অবস্থার এমন উন্নতি হওয়ায় তিনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে বলেন, আল্লাহ আমার মেয়েকে ভালো করেছেন। দেশবাসীও তার জন্য দোয়া করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর সে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বখাটে বদরুল আলমের চাপাতির আঘাতে গুরুতর আহত হন খাদিজা। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ওই দিন রাতেই তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
৪ অক্টোবর বিকালে স্কয়ার হাসপাতালে তার দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর তাকে রাখা হয় লাইফ সার্পোট। এক পর্যায়ে লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয়। পরে আরো দুই দফা অস্ত্রপাচার করা করা হয়েছে। এছাড়াও গত ২৭ অক্টোবর তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তিত করা হয়। এখনো তিনি কেবিনেই চিকিৎসাধীন।