বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার প্রতিবাদে হাউজ অব কমন্সের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ নভেম্বর ২০১৬, ৫:২৮ অপরাহ্ণ
লন্ডন অফিসঃ বাংলাদেশর বিভিন্নস্থানে হিন্দুসম্প্রদায় এবং অন্যান্য ধর্মীয়সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর উগ্রবাদীদের হামলার প্রতিবাদে হাউজ অব কমন্সের সামনে শত শত মানুষের এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ নভেম্বর বুধবার দুপুর থেকে বৃটেনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিবাদকারীরা এসে সমবেত হয় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে।
অল বাংলাদেশী হিন্দু রাইটস কাউন্সিল, সসিয়েল এন্ড রিলিজিয়াস মাইনরিটি অর্গেনাইজেশন ইউকে, লোকনাথ ভক্ত পরিষদ, ক্যামপেইন ফর রিলিজিয়াস মাইনরিটিস ইন বাংলাদেশ (সিপিআরএমবি), সেকুলার বাংলদেশ মুভমেন্ট,সার্বজনীন বাবা লোকনাথ এসোসিয়েশন, ইউনাইটেড হিন্দু ক্যালচারাল এসাসিয়েশন, ও যুক্তরাজ্য শাখা নির্মুল কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বাংলাদেশে ধর্মীয়সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর একের পর এক হামলা, বাড়ী ঘরে অগ্নিসংযোগ ও মাইনরিটি সম্প্রদায়ের সম্পত্তি দখলের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন প্রতিটি ঘটনার সুষ্টু বিচার এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার দাবী জানান।
বিশেষ করে ব্রাম্মনবাড়ীয়ায় লাগাতরভাবে সংখ্যালঘুদের বাড়ী ঘরে অগ্নিসংযোগ ও ম্ইানরিটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে যে হামলা হয়েছে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার এবং নেপথ্যে নায়কদের খুজে বের করার দাবী জানান বক্তারা, সেইসাথে অন্যান্য স্থানে যেন আর এর পূনরাবৃত্তি নাঘটে এদিকে খেয়াল রাখারও আবেদন জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
বক্তারা বলেন ১৯৪৭ সালের পর থেকে দেশের রিলিজিয়াস মানরিরিটি সম্প্রদায় ক্রমাগত ভাবে নির্যাতিত হয়ে আসছে। প্রতিদিনই বাংলাদেশের কোন না কোন স্থানে সংখ্যালঘুরা হয়রানির শিকার হচ্ছে, আর এসব কারনে নিরীহ হিন্দুসম্প্রদায় দেশত্যাগে বাধ্য হেেচ্ছ। সমাবেশ কারীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন সাবেক মন্ত্রী ও লেবার দলীয় এমপি জিমফ্রিজ পেট্রিকি ও বিটিশ লর্ডসভার সদস্য লর্ড পপেট অব হেরো।
জিমফ্রিজ পেট্রিক এমপি বলেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন কোন নতুন বিষয় নয় কোন সরকারই এসব নির্যাতন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেবার কারনে ধর্মীয় মাইনরিটি সম্প্রদায় নির্যাতিত হেেচ্ছ। তিনি সম্প্রতি ব্রাম্মনবাড়ীয়ার হামলার সাথে জড়িতদের সাজা এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী জানান। লর্ড হরো বলেন সংখ্যালঘূ নির্যাতন বাংলাদেশে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এঅবস্থা অব্যাহত থাকেল পরিণতি আরো ভয়াবহ হবে তিনি উগ্রবাদ দমনে সরকারকে আরো সচেষ্ট হওয়ার আহবান জানান।