সিলেটী ছেলে হাসিম ক্লার্কের কীর্তিতে আমেরিকায় গর্বিত বাংলাদেশীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ নভেম্বর ২০১৬, ৭:৫৯ অপরাহ্ণ
জে আহমেদঃ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন আমাদের বাংলাদেশীরা। সাফল্যর সাথে তাদের অবস্থান বহির্বিশ্বে বাংলাদেশীদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে । নানা কর্মে হয়েছেন আলোচিত মুখ । তাদের সাফল্যগাথা কর্মজীবন বহির্বিশ্বে বাংলাদেশীদের অবস্থানকে করেছে সুসংহত । পৃথিবীর বুকে তারাই তুলে ধরছেন বাংলাদেশের পতাকা । তাদেরই একজন হেনসেন হাসিম ক্লার্ক। তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাসম্পন্ন দেশ আমেরিকায় সারা দুনিয়াকে অবাক করে দিয়ে হয়েছিলেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান । সিলেটের বিয়ানীবাজারের ছেলে হেনসেন ক্লার্কের অবিস্বরনীয় এই অর্জন বাংলাদেশকে বড় উচ্চাসনে অধিষ্টিত করেছে ।
একজন ডিমোক্র্যাট হিসাবে তিনি ২০১১ থেকে ২০১৩ অবধি বাংলাদেশী অধ্যুষিত মিশিগানের ১৩তম কংগ্রেশনাল এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন এই বাংলাদেশী।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত হিসেবে কংগ্রেসে জয়ী হেনসেন হাসিম ক্লার্কের জন্ম ১৯৫৭ সালের ২ মার্চ । সিলেটের বিয়ানীবাজারের শ্রীধরা গ্রামের মুজাফফর হাসিমের একমাত্র সন্তান । ১৯৩০ সালে জাহাজে চাকরির সুবাধে তিনি আমেরিকা পারি দেন মুজাফফর । একসময় আমেরিকার ডেট্রয়েটে অবস্তানকালে তিনি আফ্রো আমেরিকান তরুণী থেলমা ক্লার্ককে বিয়ে করেন । বিয়ের ২ বছরের মাথায় তাদের কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে শিশু সন্তান । তার নাম রাখা হয় আব্দুল মালিক । শিশু অবস্থায় বাবা মুজাফফর মারা গেলে কঠিন অবস্থায় পড়েন তার মা । রাস্তা ক্রসিং গার্ডের কাজ করে কোনভাবে সংসার চালান । তার উপর ছিল ছেলের পড়ালেখার খরচ । ১৯ বছর বয়সে মাকে ও হারান তিনি । কঠিন দুঃসময়ে মালিক জীবন যুদ্ধে ঠিকে থাকতে নাম পরিবর্তন করেন । বাবা ও মায়ের নামের প্রথম ও শেষ অংশ যোগ করে রাখেন হেনসেন হাসিম ক্লার্ক । এবার তার কর্মপরিধিকে জাতীয়পর্যায়ে বিস্তৃত করার সুযোগ সৃষ্টি হলো। কংগ্রেসম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে তিনি মূল ধারায় বাংলাদেশী-আমেরিকানদের উথানের ক্ষেত্রে তিনি অগ্রসৈনিক অথবা পথপ্রদর্শক ছিলেন। কয়েক বছর আগে হেনসেন ক্লার্ক বিয়ানিবাজারে তার বাবার বাড়ি ঘুরে গেছেন। বিখ্যাত জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি থেকে জুরিস ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনকারী হেনসেন ক্লার্ককে অনেকে সৎ, মেধাবী ও সুশিক্ষিত রাজনীতিকের প্রতীক হিসেবেও বিবেচনা করে থাকেন ।
সর্বোপরি তার এই অর্জনে দেশ যেমন আলোকিত হয়েছে তেমনি আলোকিত হয়েছেন তিনিও । তার এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে বহির্বিশ্বে আমাদের প্রবাসীরা যেন অর্জনের খাতা ভরে দেন এই প্রত্যাশা প্রত্যেকটি বাংলাদেশির।