সিলেটের কৃতি সন্তান আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা,আপিলের সারসংক্ষেপ জমার নির্দেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ নভেম্বর ২০১৬, ৬:৩৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজঃ সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার সিলেটের কৃতি সন্তান আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ পাঁচজনের আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ধার্য থাকলেও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি বজলুর রহমান। অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল দিলিরুজ্জামান শুনানিতে অংশ নেন। তবে আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। ডেপুটি এটর্নি জেনারেল দিলিরুজ্জামান জানান, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপিলের শুনানি হবে।
সিলেটে হযরত শাহ্জালালের (রঃ) মাজার প্রাঙ্গণে ২০০৪ সালের ২১শে মে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। ওই হামলায় তিনি আহত হন। নিহন হন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক কামাল উদ্দিন, কনস্টেবেল রুবেল আহমেদ ও হাবিল মিয়া। পুলিশ ওইদিনই সিলেট কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে। তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৭ই জুন এ মামলায় চার্জশিট দেয়া হয়। ২০০৮ সালের ২৩শে ডিসেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ মামলার রায় ঘোষণা করে। রায়ে মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়। মহিবুল্লাহ এবং মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়। নিম্ন আদালতের রায়ের পর ২০০৮ সালে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। ২০০৯ সালে আসামিরা আপিল করেন। গত ৬ই জানুয়ারি হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। হাইকোর্ট আপিল খারিজ করে নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রাখে। কারাগারে থাকা পাঁচ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান ও বিপুল হাই কোর্টের রায়ের প্রত্যায়িত অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর গত ১৪ জুলাই আপিল করেন।