সিলেটে ত্রিভূজ প্রেমের বলি ওয়াহিদ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ নভেম্বর ২০১৬, ১:৫৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
ওয়াহিদকে ভালোবাসতেন একই গ্রামের শিউলি। শিউলিকে ভালোবাসতেন প্রতিবেশী সায়েম উদ্দিন। কিন্তু শিউলি সায়েমকে ভালো না বাসায় ত্রিভূজ প্রেমের দ্বন্দ্বে ওয়াহিদকে হত্যা করেন সায়েম ও রেজাউলসহ ছয় বন্ধু। হত্যার পর মরদেহ হাওরের ধানক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যান তারা।
বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৪র্থ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এভাবেই আব্দুল ওয়াহিদ হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দেন গ্রেফতারকৃত চার আসামির তিনজন।
তারা হলেন- বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব মুড়িয়া পাতারিয়া গ্রামের রেজাউল করিম, রাসেল আহমদ ও আতিকুর রহমান। আদালতে ওই তিন আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন বিচারক ফারজানা সুমো চৌধুরী।
তাদের জবানবন্দির বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, প্রতিবেশী শিউলি ও ওয়াহিদের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি সায়েম। পরিকল্পিতভাবে গত সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওয়াহিদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান তারা।
পাতারিয়া হাওরের ধানি জমিতে নেওয়ার পর ছুরিকাঘাত করে ও কাঁচি দিয়ে ঘাড়ের রগ কেটে ওয়াহিদের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। পর মরদেহ ধানক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যান তারা। হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনা করেন সায়েম ও রেজাউল। এছাড়া রাসেল আহমদ, আতিকুর রহমান, রাজু আহমদ ও অজ্ঞাতনামা আরেকজন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আসামিদেরকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিয়ানীবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিউল ইসলাম। সন্ধ্যা ৬টায় জবানবন্দি শেষে আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) সকালে পাতারিপাড়া হাওরের ওই ধানক্ষেত থেকে ওয়াহিদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার (০২ নভেম্বর) নিহতের বাবা আব্দুল মান্নান চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় দায়েরের পর রেজাউল, রাসেল আহমদ, আতিকুর রহমান ও রাজু আহমদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।