আসছে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি : চাঙ্গা হয়ে উঠছেন বিভিন্ন বলয়ের নেতাকর্মীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ নভেম্বর ২০১৬, ১১:৪৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর শিঘ্রই আসছে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি। আর তার মধ্য দিয়ে জেলা ছাত্রলীগের কার্যক্রমে যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে, তা আবারো সচল হবে বলে আশাবাদী তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
এদিকে, জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে দায়িত্বশীল পদে আসতে একাধিক নেতা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। কাঙ্খিত পদ পেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পদ-প্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতারা। আওয়ামী লীগের অনেক সিনিয়র নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অবলম্বন করছেন ভিন্ন ভিন্ন কৌশল। চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন বিভিন্ন বলয়ের কর্মীরা।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে- সিলেট জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে ত্যাগী ও পরীক্ষিত ছাত্র নেতাদের নিয়েই কমিটি করা হবে। দীর্ঘদিন থেকে ত্যাগ ও শ্রম দিয়ে আশা ছাত্র নেতারা বলছেন- বার বার জেলা ছাত্রলীগের কমিটি হলেও ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে হাইব্রিড এবং ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল থেকে অনুপ্রবেশকারীদেরই ঠাঁই হয় কমিটিতে।
তবে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতে- যেহেতু কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিলেটেরই সন্তান, তাই অনেকটাই আস্থা রাখছেন তাঁর উপর। সিলেট ছাত্রলীগের যে কয়টি বলয় মাঠ পর্যায়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছে, তার মধ্যে কেউ কেউ বাদ পড়তে পারেন। আবার নতুন ও পুরাতন কেউ কেউ যুক্ত হতে পারেন নতুন কমিটিতে। নেতাকর্মীদের মাঝে এমনই হিসাব-নিকাশ চলছে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে- প্রত্যাশিত পদ পেতে লবিংয়ে এগিয়ে রয়েছেন নতুন যুক্ত হওয়া যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলয় থেকে বিপ্লব দাস ও মুহিব আলী। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের অনুসারী তেলিহাওর বলয় থেকে এগিয়ে রয়েছেন সালাহ উদ্দিন পারভেজ, জাওয়াদ খান ও শাকুর আলী জনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী বলয় থেকে এগিয়ে রয়েছেন স্থগিত কমিটির সহ-সভাপতি রশিদুল ইসলাম রাশেদ। আওয়ামী লীগ নেতা আজাদুর রহমান আজাদ ও রঞ্জিত সরকার নিয়ন্ত্রিত টিলাগড় গ্রুপ থেকে এগিয়ে রয়েছেন সঞ্জয় চৌধুরী, কনক পাল অরূপ, অসীম কান্তি কর, রাসেল আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা বিধান সাহা নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির গ্রুপ থেকে এগিয়ে রয়েছেন রাজেস সরকার, হাবিবুর রহমান, মুমিনুল ইসলাম, শাহিন মিয়া ও মো. সাদিকুর রহমান।
এছাড়াও প্রবাসী নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবের বলয় থেকে এগিয়ে রয়েছেন শাহীন আলী। তবে নতুন কমিটিই আসবে, নাকি পুরাতন কমিটিই বহাল থাকবে এ নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, আগের কমিটিই বহাল রয়ে যেতে পারে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন জানান- দেখি, এখনো আমরা কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে তিনি হেসে ওবায়দুল কাদেরের একটি উক্তি দিয়ে বলেন- স্যার বলছেন না, ‘আকাশে চাঁদ উঠলে সবাই দেখতে পায়’। তেমনি কমিটি আসলে আপনারাও জানতে পারবেন।