রিকাবীবাজারে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের দু দফা সংঘর্ষ-ভাংচুর, আহত ৩
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ অক্টোবর ২০১৬, ১১:১১ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেট নগরীর রিকাবীবাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের পিযুষ কান্তি দে সমর্থিত ও ছাত্রদলের প্রান্তিক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগের তিন কর্মী আহত হয়েছেন। এসময় একটি ডায়গনস্টিক সেন্টার ও একটি ফার্মেসি ভাংচুর করা হয়।
আহতরা হলেন ছাত্রলীগ কর্মী জাহেদ, মঈনুল ও রিপন । আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ভর্তি রয়েছেন। আহতরা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক পীযুষ কান্তিদের কর্মী বলে জানা গেছে।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ও রাতে দু দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় রিকাবীবাজার ল্যাবডিনোভা ডায়াগনস্টিক এন্ড কন্সালটেন্সি সেন্টারের গ্লাস ভাংচুর এবং একটি ফার্মেসীতেও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিকাবীবাজার ল্যাবডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে মহানগর ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসান মাহমুদ সুমনের নেতৃত্বাধিন প্রান্তিক গ্রুপের নেতাকর্মীরা প্রতিদিন আড্ডা দিতেন। বুধবার বিকেল ৪টার দিকে ওই স্থানে পিযুষ কান্তি দে অনুসারী মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিকের নেতৃত্বে কয়কজন নেতাকর্মী ওই স্থানে গেলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। এসময় ছাত্রলীগ কর্মী জাহেদ, মঈনুল ও রিপন আহত হয়।
এর জের ধরে বুধবার রাত ৯টার দিকে পীযুষ সমর্থিত মহানগর ছাত্রলীগ নেতা অনিক দলবল নিয়ে ওই স্থানে গেলে আবারো ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় ল্যাবডিনোভা ডায়াগনস্টিক এন্ড কন্সালটেন্সি সেন্টারের গ্লাস ভাংচুর এবং একটি ফার্মেসিতেও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এসময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ পেয়েছেন বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে সিলেট কোতোয়ালী থানা পুলিশ রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে দু’পক্ষের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ ব্যাপারে ছাত্রদল নেতা কাউসান মাহমুদ সুমন বলেন, এরআগেও কয়েকদিন পিযুষ গ্রুপের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা রিকাবীবাজারে এসে আমাদের উপর হামলা চালায়। বুধবারও তারা আমাদের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষ বাঁধে।
তবে এ ঘটনায় পিযুষ কান্তি দেব এবং তাঁর অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা সজল দাস অনিকের সাথে অনিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহামদ বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।