এবার কলেজ ক্যাম্পাসেই প্রকাশ্যে ছাত্রীকে মারধর
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ অক্টোবর ২০১৬, ১০:০৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেনীর এক ছাত্রীকে (১৭) লাঞ্ছিত করেছে ওই কলেজেরই এক ছাত্র। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) কলেজের ক্লাস চলাকালীন সময়ে দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পৌর এলাকার চাতলগাঁও গ্রামের ক্বারী আব্দুল হান্নানের ছেলে ও কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র নাঈম মিয়া (১৮) এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে কলেজ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে কলেজের ক্লাস চলাকালীন এক পর্যায়ে বিরতির সময় দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী পৌর এলাকার চাতলগাঁওয়ের ক্বারী আব্দুল হান্নানের ছেলে নাঈম আহমদ একাদশ শ্রেনীর ঐ ছাত্রীকে আটক করে ছাদে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ছাত্রীটি এই প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় নাঈম তার সাথে জোর-জবরদস্তি শুরু করে। এক পর্যায়ে চড় দিতে থাকে। এসময় মেয়েটির চিৎকারে আশেপাশের সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এগিয়ে এসে ছাত্রীকে উদ্ধার করেন। এসময় নাঈম তার মোটরসাইকেল নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা পিপিএম ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নাঈম পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং নাঈমকে আটকের জন্য তার পিতা আব্দুল হান্নানকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
এ বিষয়ে ছাত্রীটির মা অভিযোগ করে জানান, দীর্ঘদিন যাবত নাঈম আমার মেয়েকে উত্ত্যাক্ত করে আসছে। আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি। আজ কলেজ ক্যাম্পাসে ওই ছেলেটি আমার মেয়েকে কথা বলার জন্য কলেজের ছাদে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। এতে আমার মেয়ে যেতে না চাওয়ায় সে জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সে প্রকাশ্যে চড় মারতে থাকে। এসময় কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে নাঈম সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সৌম্য প্রদিপ ভট্টাচার্য ছাত্র কর্তৃক ছাত্রী লাঞ্ছিতের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ঘটনার আগ মুহুর্তে ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় আমি নাঈমকে শাসিয়ে সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য বলি এবং ছাত্রীকে কমন রুমে পাঠিয়ে দেই। কিছুক্ষণ পরে ওই ছাত্রী ক্লাসে যাওয়ার সময় নাঈম (ছাত্রীকে) তাকে আটকিয়ে চড় থাপ্পর মারতে থাকে। এসময় কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এসে ছাত্রীটিকে রক্ষা করেন।
ঘটনার নিশ্চিত করে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা পিপিএম জানান, আমরা আইনানুগভাবে এই বিষয়টির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।