২০১৮ সালের মধ্যে চালু হবে বাংলাদেশ-নেপাল রেল যোগাযোগ -বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ অক্টোবর ২০১৬, ৬:৫৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের সরাসরি রেল যোগাযোগ শুরু হবে। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের (বিবিআইএন) মধ্যে আন্তঃসংযোগ প্রকল্পের আওতায় এই রেল যোগাযোগ স্থাপন করা হবে।
রোববার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রী রোমি গাওচান তাসাকালির সঙ্গে বৈঠক শেষে তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বৈঠকে বিবিআইএন চুক্তির আওতায় নেপাল ২০১৮ সালের মধ্যে মংলা থেকে ভারতের সিনবাদ হয়ে নেপালের বীরগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ ও তাদের নাগরিকদের জন্য স্থল ভিসা চেয়েছে। আর বাংলাদেশ চেয়েছে নেপালে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ ও রফতানি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে রেললাইন চালু করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নেপাল মংলা বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী। তাই মংলা থেকে খুলনা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ শেষ হলেই দুই দেশের মধ্যে স্থলপথে পণ্য আনা-নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। রেল ট্রানজিটটি বাস্তবায়িত হলে বঙ্গোপসাগর দিয়ে পণ্য আমদানি করে মংলা নৌবন্দরে তা খালাসের পর মংলা-খুলনা হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোহানপুর স্থলবন্দরে তা নিতে চায় নেপাল। এরপর ভারতের সিনবাদ রুট ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে তা নেপালের বীরগঞ্জে নেওয়া যাবে।
২০১৮ সালের মধ্যে রেলপথে পণ্য আনা-নেওয়া শুরু হবে বলে আশা করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপন হলে দ্রুত পণ্য সরবরাহ সম্ভব হবে। তারা এ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী।
মন্ত্রী জানান, সহজেই নেপালে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে তার দেশের সরকার সহায়ক নীতি গ্রহণ করেছে। শিগগিরই বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল যৌথভাবে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণ করবে।