নাজিমউদ্দিন সামাদ হত্যায় এক সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ অক্টোবর ২০১৬, ১২:১৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্সের ছাত্র ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নাজিমউদ্দিন সামাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৬ অক্টোবর) রাতে ঢাকার সায়দাবাদ এলাকা থেকে রাশিদুন নবী নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশ ওই অভিযানে অংশ নেয় বলে জানালেও গ্রেপ্তার ব্যক্তির পরিচয় বলেননি মাসুদুর রহমান।
তিনি বলেন, সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
গত বছর থেকে একের পর এক লেখক, ব্লগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, প্রকাশক জঙ্গি কায়দায় হামলার শিকার হওয়ার মধ্যেই চলতি বছর ৬ এপ্রিল রাতে পুরান ঢাকায় খুন হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্সের ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদ (২৭)।
সিলেট শাখা বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক নাজিম গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। গেণ্ডারিয়ায় নিজের বাসায় ফেরার পথে সূত্রাপুরে তাকে ছুরি মেরে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
ফেসবুকে ধর্মান্ধতা ও সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে সমালোচনামূলক লেখালেখি করা নাজিম খুন হওয়ার পর দেশ-বিদেশে নিন্দা হয়। হত্যাকারী চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা একিউআইএস এর বাংলাদেশ শাখা আনসার আল-ইসলাম ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে সে সময় খবর দিয়েছিল ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ’।
সাইটের বক্তব্য হলো, তাদের কাছে পাঠানো বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা একিউআইএসের ওই বার্তায় বলা হয়, “এই অপারেশন চালানো হয়েছে এই দেশের সেই সব ধর্ম অবমাননাকারীদের শিক্ষা দিতে, যাদের বিষাক্ত জিহ্বা লাগাতার আল্লাহ, ইসলাম ধর্ম ও রাসূলের অবমাননা করে যাচ্ছে।”
এদিকে ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লেখালেখির কারণে এর আগে নাজিমুদ্দিন সামাদ ‘হুমকি পেয়েছিলেন’ বলে তার নিকটজনেরা জানিয়েছিলেন।
তার বন্ধুরা বলেছেন, হুমকি মাথায় নিয়ে কিছুদিন সিলেটের বিয়ানীবাজারে আত্মগোপনে ছিলেন নাজিম। দিন পনের নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টও বন্ধ রেখেছিলেন। ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লেখালেখির কারণে নাজিমের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন তার স্বজনরাও।