আফসানা হত্যাকাণ্ড : ছাত্রলীগ নেতা রবিনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ অক্টোবর ২০১৬, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর মিরপুরের সাইক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির স্থাপত্য বিদ্যার শেষ বর্ষের ছাত্রী ও ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী আফসানা ফেরদৌস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তেজগাঁও সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান রবিনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আফসানাকে আত্মহত্যায় সহায়তা ও লাশ গুমের চেষ্টার অপরাধে দণ্ডবিধি ৩০৬/২০১/৫১১ ধারায় কাফরুল থানায় মামলাটি করেছেন আফসানার ভাই ফজলে রাব্বি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রবিনের বাবা আ. হাই, মশিউর রহমান, সিফাতুল হক সিফাত ও আশিকুল ইসলাম। এদের মধ্যে তিনজন বর্তমানে আটক রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আফসানার সঙ্গে রবিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তাদের এফিডেভিটমূলে বিয়ে হয়। বিয়ের পর আফসানা কাবিনের জন্য চাপ দিলে তার কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন রবিন। এছাড়া আসামি রবিন নিয়মিত আফসানাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন। একপর্যায়ে রবিন বলেন, হয় আমার দাবি পূরণ করো, নয়তো গলায় দড়ি দিয়ে মরো।
এরপর গত ১৩ আগস্ট রাতে অপরিচিত মোবাইল ফোন থেকে কল দিয়ে আফসানার মাকে জানানো হয়, আফসানার মরদেহ বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। আফসানার মা ঠাকুরগাঁও থেকে আত্মীয়স্বজনদের বিষয়টি জানালে ঢাকায় অবস্থানরত আফসানার মামা ও অন্য স্বজনরা দ্রুত ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান। কিন্তু সেখানে তারা আফসানার মরদেহ পাননি।
এরপর আবারো একটি অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে জানানো হয়, আফসানার মরদেহ মিরপুরের আল-হেলাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে রয়েছে। আফসানার স্বজনরা সেখানে ছুটে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এ নামে একটি মরদেহ কাফরুল থানায় রয়েছে।
কাফরুল থানায় গিয়ে আফসানার ছবি দেখালে দায়িত্বরত পুলিশ জানান, এমন চেহারার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। পরে রাত ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গিয়ে আফসানার মরদেহ শনাক্ত করেন স্বজনরা।