সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশনে ত্রুটি, পরিচালক বরাবরে অভিযোগ দাখিল
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৫৮:৪৮,অপরাহ্ন ১৫ অক্টোবর ২০১৬
সুরমা নিউজ:
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ডেলিভারী সংক্রান্ত অপারেশনে চরম অনিয়ম করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ এনে গত ১৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার হাসপাতালের পরিচালক বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেছেন রোগিনী তাসলিমা ফেরদৌসীর স্বামী হুমায়ুন কবির।
অভিযোগপত্রে তাসলিমা ফেরদৌসর স্বামী হুমায়ুন কবির উল্লেখ করেছেন, সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেলিভারীর জন্য কোন রোগীকে ভর্তি করা হলে তার স্বাভাবিক ডেলিভারী কোন প্রকার চেষ্টাই করা হয় না। তার স্ত্রীর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। হুমায়ুন কবির গত ১ অক্টোবর শনিবার সকাল ১০টায় তার স্ত্রী তাসলিমা ফেরদৌসকে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গাইনি ইউনিট-১ এর ১৫নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। তার রেজিঃ নং- ১৪৮৬০। ঐদিন নরমাল ডেলিভারী চেষ্টা না করেই হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার নাসিমার অধীনে অপারেশনের মাধ্যমে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। পরের দিন অর্থাৎ ২ অক্টোবর রোববার রোগীর অভিভাবকদের না জানিয়ে অজ্ঞাত অপারেশন করেন। অপারেশনের পর থেকে রোগিনীর অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণের ফলে রক্তচাপ ৭০/৪০ তে অবনিত হয়। এতে কিডনীতে রক্ত জমাট বদ্ধ হওয়ায়, রোগনীর প্রশ্রাব বন্ধ হয়ে যায়। রোগীনীর অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটলে হাসপাতাল থেকে রিলিস দেয়া হয় এবং ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। এই অবস্থায় রোববার রাত ১০টায় তাসলিমা ফেরদৌসকে রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেও ডাক্তারগণ রক্তক্ষণ বন্ধ করতে পারেনি। সেখান থেকে রিলিস দেয়া হলে গত ৩ অক্টোবর সোমবার তাকে লাইফ সাপোর্ট এর এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউ-এ লাইফ সাপোর্টে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। বর্তমানের পূর্বের ন্যায় প্রশ্রাব বন্ধ আছে, তবে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে। এখনও তাসলিমা ফেরদৌস শংকামুক্ত নয়। ইতিমধ্যে তাকে ২০-২৫ ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে রোগিনী তাসলিমা ফেরদৌসর স্বামী হুমায়ুন কবিরের অভিযোগ, অপারেশনে ত্রুটি হওয়ার কারণে তার স্ত্রীর মুমূর্ষু অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাগীব রাবেয়া মেডিকেল হাসপাতালের চিকিৎসকও বলেছেন, অপারেশনের ত্রুটির কারণেই অপ্রত্যাশিত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। হুমায়ুন কবির আরো বলেন, তার স্ত্রী সদ্য সিলেট সরকারী মহিলা কলেজ হতে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে এম.এ পাশ করেছেন। তার জীবনের বহু আশা-আকাঙ্খা পূরণে অপেক্ষায়। এই সময় সে ডাক্তারদের ভুলের কারণে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাসপাতালের পরিচালকের নিকট জোর দাবী জানান। তিনি সিলেটবাসীর কাছে তার স্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য দোয়া কামনা করেছেন।