সিলেটে ৩০০টি ভ্রাম্যমাণ ডাস্টবিন : ব্যবহার করছেন না অনেকেই
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ অক্টোবর ২০১৬, ৬:২৬ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য সিলেট শহরের বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ৩০০টি ভ্রাম্যমাণ ডাস্টবিন স্থাপন করেছে। কিন্তু শহরবাসী সেসব ডাস্টবিনে আবর্জনা না ফেলে সড়ক ও ফুটপাতেই ফেলছেন। মানুষের অসচেতনতার কারণে ভালো একটি উদ্যোগও সম্পূর্ণ কাজে লাগছে না বলে অভিমত কর্তৃপক্ষের।
গত মঙ্গলবার বেলা দুইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, কাজলশাহ রোড ও আম্বরখানা এলাকার সড়কজুড়ে অসংখ্য কোমল পানীয়র পরিত্যক্ত বোতল, চিপসের মোড়ক, কাগজ, কলার খোসাসহ নানা বর্জ্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। অথচ এসব এলাকার ফুটপাতেই রয়েছে ডাস্টবিন।
এদিন চারটি এলাকার অন্তত ১৮টি ডাস্টবিনের ঢাকনা উল্টে দেখা গেছে, সেগুলোতে এক-দুটি প্লাস্টিকের বোতল আর কিছু কাগজ ছাড়া আর কিছুই নেই। চৌহাট্টা এলাকার ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী খাইরুল মিয়া বলেন, অনেকেই ময়লা-আবর্জনা ডাস্টবিনে না ফেলে ফুটপাত ও রাস্তায় ফেলছেন।
সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা শাখার দুজন কর্মকর্তা জানান, শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ফুটপাতে ঢাকনাসমেত এসব ডাস্টবিন বসানোর কাজ শুরু হয়। এ পর্যন্ত প্লাস্টিক ও টিনের প্রায় ৩০০টি ডাস্টবিন বসানো হয়েছে। মঙ্গলবারও সোবহানীঘাট এলাকায় বসানো হয় ১৫টি ডাস্টবিন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আরও অন্তত ২৫০টি ডাস্টবিন বসানো হবে।
নাগরিক মৈত্রী সিলেটের আহ্বায়ক সমরবিজয় সী শেখর বলেন, শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার স্বার্থে এটি নিঃসন্দেহে সিটি করপোরেশনের একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। কিন্তু ডাস্টবিনগুলো শহরবাসী খুব একটা ব্যবহার করছেন না। এটি ব্যবহারে সবাইকে অভ্যস্ত করতে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করাও প্রয়োজন।
এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, ‘শহরকে যেকোনো মূল্যেই আমরা পরিচ্ছন্ন রাখতে চাই। এ কারণেই ডাস্টবিনগুলো বসানো হয়েছে। এগুলো ব্যবহারে শহরবাসীকে অভ্যস্ত করার জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হবে।’