রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করতে যা করা দরকার তাই করবে বিএনপি
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩০:২১,অপরাহ্ন ১৪ অক্টোবর ২০১৬
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সুন্দরবনের অদূরে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করতে বিএনপি সম্ভাব্য সবরকম কর্মসূচি নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
রামপালে কয়লা তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধের দাবিতে এর আয়োজন করে ‘ঢাকাস্থ মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলা জাতীয়তাবাদী ছাত্র ও যুব পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন।
সুন্দরবনের কাছে বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে এই ‘মৈত্রী সুপার থারমাল পাওয়ার’ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছে। যেখান থেকে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বায়ু, শব্দ ও পানি দূষণের কারণে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হবে দাবি করে এর বিরোধিতা করে আসছে পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন। অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পরিবেশগত ক্ষতির মাত্রা ন্যূনতম রেখেই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ প্রকল্পটির বিরোধিতা করছে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলও। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও এই প্রকল্পকে অলাভজনক অভিহিত করে একে সুন্দরবন এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি করেছেন।
আলোচনা সভায় সেই প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘দেশে বিদ্যুতের প্রয়োজন আছে। বিএনপি নেত্রী বলেছেন, এই প্রকল্প করতে হলে সুন্দরবন থেকে সরিয়ে তা অন্যত্র করুন।
‘তার (খালেদা জিয়া) কথা কর্ণপাত না করে যদি রামপালে বিদ্যুৎ প্রকল্প করার সিদ্ধান্ত অব্যাহত রাখা হয়, তাহলে এই প্রকল্প বাতিল করতে যা যা করা দরকার তাই করবে বিএনপি।’
‘সরকারের নেওয়া সব ধরনের প্রকল্পকে অবৈধ’ দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা অবৈধভাবে চুক্তি করছে, উন্নয়ন প্রকল্পের নামে লুটপাট করছে, আগামী দিনে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসলে এই সকল প্রকল্প পুনর্বিবেচনা করা হবে।’
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তিনি জাসদের চারখণ্ডের একভাগের সভাপতি। এবার কাউন্সিলে সেটিও আবার দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। তিনি আবার খালেদা সম্পর্কে বড় বড় কথা বলেন।’
সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গিবাদের বিষয়টিকে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,` ‘বিএনপি জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করে। কিন্তু বিচার ছাড়া মানুষ হত্যা সমর্থন করে না। বিচারের আগে মানুষ হত্যা মানবতার পরিপন্থি।’
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান বিল্লালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, সংগঠনের উপদেষ্টা কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।