সুন্দরবন না থাকলে বিপন্ন হয়ে পড়বে ৪ কোটি মানুষ -সিলেটে আনু মুহাম্মদ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ অক্টোবর ২০১৬, ১০:৩০ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
বনের বিকল্প গাছ হতে পারে না। জলভূমি, বনভূমি, মাটি, পানি ইত্যাদির সমন্বয়ে গড়ে ওঠেছে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন। লাখো বছরে গড়ে ওঠা এই বন বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য প্রাকৃতিক প্রাচীর হিসেবে কাজ করে। সুন্দরবন যদি না থাকে ৪ কোটি মানুষ বিপন্ন হয়ে পড়বে।
এসব কথা বলেছেন তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। শুক্রবার বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সিলেট বিভাগীয় সমাবেশে এসব কথা বলেন।
এরআগে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় সবুজ বেষ্টনী তৈরি করে পরিবেশকে সুরক্ষা করা হবে আর এই জন্য রামপাল এলাকায় ৫ লক্ষ গাছ লাগানো হবে।
শুক্রবার সিলেটে আনু মুহাম্মদ আরো বলেন, সরকার যুক্তির জায়গায় শক্তি প্রয়োগ করতে চাইছে। যুক্তিতে পরাজিত হয়ে গত কয়েকমাসে দমন পীড়নের ঘটনা ঘটেছে। যা সরকারের দূর্বলতা ও নৈতিক পরাজয়।
তিনি বলেন, আমরা সরকারকে যথেষ্ট যুক্তি-ব্যাখ্যা দিয়েও বুঝাতে পারছি না। ভারত-চীন-রাশিয়া-মার্কিন স্বার্থ রক্ষায় এসব করা হচ্ছে। বাংলাদেশর স্বার্থ রক্ষায় সরকারের মধ্যে আমরা কোনো লোক খুঁজে পাচ্ছি না।
সুন্দরবান কেবলমাত্র একটা অঞ্চলের বন নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুন্দরবন রক্ষায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিবাদ হচ্ছে।
তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি, সিলেটের আহ্বায়ক ব্যরিস্টার মো. আরশ আলীর সভাপতিত্বে ও আনোয়ার হোসেন সুমনের পরিচালনায় আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা ফখরুদ্দিন কবির আতিক, প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা, জাতীয় গণফ্রন্ট নেত্রী আমিরুন নুজহাত মনিসা, সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা ধীরেন সিংহ, ওয়ার্কাস পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সিকন্দর আলী, ময়নুর রহমান মবনু, এডভোকেট জুনায়েদ আহমদ, সত্যজিত চন্দন, জুনেদুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।