শিবির কর্মী ছিলো ছাতকের ‘জঙ্গি’ সাইফুর
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:২২:৪৮,অপরাহ্ন ১৩ অক্টোবর ২০১৬
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
গাজীপুরের পাতারটেকে পুলিশের জঙ্গিবিরোধী ‘অপারেশন শরতের তুফান’ নামের অভিযানে নিহত সাত জঙ্গির একজন সাইফুর রহমান ওরফে বাবলু। সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মনিরজ্ঞাতি গ্রামের মতিউর রহমান ময়না শাহ ও হুসনে আরা দম্পতির একমাত্র ছেলে সাইফুল জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মী ছিল বলে দাবি করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির অভিযোগ করে বলেন, ‘সাইফুর জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। সে দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজের বিষয়টি সাইফুলের পরিবার আমাকে জানিয়েছিল। এমনকি ছাতক থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন সাইফুলের বাবা।’
সাইফুরকে স্থানীয়রা বাবলু নামেই চিনত। সে মনিরজ্ঞাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাইমারি পাস করে পীরপুর হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং সিলেট নগরীর রায়নগরের সার্ক ইন্টারন্যাশনাল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য কোচিং করতে ঢাকায় যায়। দু’মাস ধরে নিখোঁজ ছিল। এরপর সে পরিবারের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। গাজীপুরের অভিযানের পর পত্রিকায় জঙ্গিদের প্রকাশিত ছবি দেখে তাকে আমরা চিনতে পারেন তার পরিবারের সদস্যরা।
সাইফুলের বাবা মতিউর রহমান বলেন, ‘পত্রিকায় ছবি প্রকাশের পর আমরা তার সন্ধান পেলাম। যারা জঙ্গি তাকে জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে। কারণ জঙ্গিদের গডফাদাররা যদি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, তাহলে সাইফুলের মতো অনেক যুবক বিভ্রান্ত হয়ে জঙ্গি হয়ে উঠবে।’
সাইফুরের মা হুসনে আরা বেগম বলেন, ‘নিজ হাতে ছেলেকে আমি ছোট থেকে বড় করেছি। যারা আমার ছেলেকে এই পথে নিয়েছে, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। যেন আর কোনও মায়ের বুক জঙ্গিদের মদদদাতারা খালি করতে না পারে।’
মনিরজ্ঞাতি গ্রামের বাসিন্দা ফয়সল উদ্দিন বলেন, ‘সাইফুর লেখাপড়ার জন্য বেশির ভাগ সময় সিলেটে থাকতো। গ্রামে তার পরিচিতি ছিল কম।’
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর গাজীপুরের পাতারটেক এলাকায় পুলিশের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত হয় ৭ জঙ্গি। তাদের মধ্যে তিন জনের পরিচয় পাওয়া যায়। যাদের একজন হলো সাইফুর রহমান ওরফে বাবলু।