বদরুলের প্রতি ঘৃণা ও ধিক্কার জানিয়ে সিলেটে অস্থায়ী ‘থুথু স্তম্ভ’
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৩৯:২৩,অপরাহ্ন ১১ অক্টোবর ২০১৬
সুরমা নিউজ:
বদরুল আলম। ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক। বর্তমানে তার নামের সাথে যোগ হয়েছে বিভিন্ন বিশেষণও। কেউ নাম দিয়েছেন ‘বদ’ বদরুল, আবার কেউবা দিয়েছেন ‘চাপাতি’ বদরুল আবার নাম হয়েছে ‘বর্বর’ বদরুলও। এসব বিশেষণের পেছনের ঘটনা কারো অজানা নয়।
প্রেমে প্রত্যাখান হয়ে সে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছিল সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে। ধিক্কিৃত এই বদরুলের চাপাতির একেকটি কুপে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল মানবতা। এই ঘটনার পর থেকেই সে হয়েছে ঘৃণার পাত্র। তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে চলছে প্রতিবাদসহ নানা কর্মসূচীও।
এবার তার প্রতি ঘৃণা থেকে তাকে ধিক্কার জানিয়ে সিলেটে করা হয়েছে ‘থুথু স্তম্ভ’। মঙ্গলবার সকালে নগরীর চৌহাট্টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অস্থায়ীভাবে ‘থুথু স্তম্ভ’র বানিয়ে সেখানে ‘থুথু নিক্ষেপ’ কর্মসূচী পালন করা হয়।
বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক কমিশন (বামাসাক)-এর উদ্যোগে বদরুলের শাস্তির দাবিতে এবং জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যেই এটি স্থাপন করা হয়েছে। স্থাপিত এই স্তম্ভে স্বতস্ফুর্তভাবে থুথু নিক্ষেপের মাধ্যমে বদরুলের প্রতি ঘৃণা এবং ধিক্কার জানাচ্ছেন সর্বস্তরের জনসাধারণ।
এর আগে সকালে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া, দুই ভাই শাহিন ও সালেহ আহমদসহ সিলেটের সাংবাদিক, রাজনীতিবীদ ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩রা অক্টোবর বিকালে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে খাদিজা আক্তার নার্গিসের ওপর হামলা চালায় শাহাজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। কলেজ ক্যাম্পাসের পুকুরপাড়ে প্রকাশ্যে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খাদিজাকে গুরুতর আহত করে সে। পরে হামলাকারী বদরুলকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। বদরুল এখন কারাগারে রয়েছে। খাদিজা বর্তমানে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।