শ্রীমঙ্গলে মহা অষ্টমী তিথিতে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ অক্টোবর ২০১৬, ৮:১৯ অপরাহ্ণ
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
জগতের আসুরিক শক্তি দূর করে ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে মানুষে মানুষে সৃষ্টি হবে ভাতৃত্ব বোধ আর পৃথিবীতে আসবে শান্তি এই প্রত্যাশায় মৌলভীবাজারের অনুষ্ঠিত হয়েছে দেবী দূর্গার মহা অষ্টমী ও কুমারী পূজা।
রবিবার দুপুর দেড়টায় জেলার শ্রীমঙ্গল রঘুনাথপুর আনন্দময়ী কালী বাড়িতে দেবীর মহা অষ্টমী তিথিতে দেবী দূর্গার অপরাজিতা রুপে পূজা করা হয় ১০ বছরের কুমারী মিতালী ভট্টাচার্য্যকে। আর এ পূজায় প্রধান পুরহিতের দ্বায়িত পালন করেন পুরহিত অসিত ভট্টাচার্য্য। তাকে সাহায্য করেন কমলা পদ চক্রবর্তী ও বাসুদেব গোম্বামী।
কুমারী মাতা মিতালী ভট্টাচার্য্য শ্রীমঙ্গল উপজেলার তপসী পাড়ার সাধন ভট্টাচার্য্য ও কাকলী ভট্টাচার্য্যের মেয়ে। শিক্ষানুরাগী অধ্যক্ষ নিখিল ভট্টাচার্য্যের পরিচালনায় কুমারী পূজায় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন ধর্মালম্ভীর হাজার হাজার দর্শনার্থী অংশ নেন। এ সময় সংক্ষিপ্ত এক আলোচনায় অংশনেন স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপি। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষানুরাগী অধ্যক্ষ নিখিল ভট্টাচার্য্যে, রঘুনাথ পুর কালীবাড়ীর পূজা কমিটির সভাপতি মহালদার বকুল পাল, সমাজসেবী মনোরঞ্জন বৈদ্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আছকির মিয়া, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুশীল শিল, ব্যবসায়ী শচিন্দ্র বৈদ্য, উপজেলা সহকারী কমিশনার বিশ্বজিত পাল, শ্রীমঙ্গল অফিসার ইনচার্জ মো. মাহাবুবুর রহমান, সাংবাদিক বিকুল চক্রবর্তী ও পৌর পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা সঞ্জয় রায় রাজু। কুমারী পূজাকে সামনে রেখে পুলিশের নজরদারীও ছিলো চোখে পড়ার মতো। অধ্যক্ষ নিখিল ভট্টাচার্য্যে জানান, ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবার মঙ্গলের জন্য এবং নারীর প্রতিমাতৃ রুপ জাগ্রত করার জন্য প্রতিবছর রঘুনাথপুরের এই কালীবাড়ীতে এ কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়।