সিটিটিসির অভিযান : গাজীপুরে আরো সাত ‘জঙ্গি’ নিহত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ অক্টোবর ২০১৬, ৪:৫৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
গাজীপুরের নোয়াগাও পাতারটেক এলাকায় সন্দেহভাজন সাত জঙ্গির মরদেহ পাওয়া গেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। শনিবার সকালে সেখানে অভিযান চালায় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
গাজীপুরের দ্বিতীয় অভিযানে সিটিটিসির সঙ্গে সোয়াত টিম যুক্ত ছিলো। সেখানে গোলাগুলি চলে বিকাল পৌনে চারটা পর্যন্ত। এর আগে শনিবার ভোরে পশ্চিম হারিনালে জঙ্গি আস্তানায় র্যাবের অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয়।
দোতলা ওই বাড়ির মালিক সোলায়মান সরকার। তিনি সৌদি আরবে থাকেন। বাড়িটি দেখাশোনা করেন তার ভাই ওসমান গনি। ওই বাড়ির এক ভাড়াটিয়া জানান, মাস তিনেক আগে বাড়িটি ভাড়া নেয় সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। তারা বাসা থেকে বের হতো না।
নব্য জেএমবির ঢাকা বিভাগের কমান্ডার ফরিদুল ইসলাম আকাশ ও তার সহযোগীরা সেখানে অবস্থান করছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই আস্তানা ঘিরে ফেলে সিটিটিসির সদস্যরা।
সিটিটিসির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ছানোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভেতরে অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে বলে তথ্য রয়েছে তাদের কাছে।
বিকাল পৌনে চারটার দিকে ঘটনাস্থলে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ভবনের দ্বিতীয় তলায় সাত জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘তামিম চৌধুরী নিহত হওয়ার পর আকাশের নেতৃত্বেই নব্য জেএমবি সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের শুরুতে জঙ্গিদের আত্মসমর্পন করতে বলা হয়। কিন্ত তা না করে তারা উল্টো পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষায় গুলি চালায়। পরে ভবনের দ্বিতীয় তলায় সাত জঙ্গির মরদেহ পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, গাজীপুরের পশ্চিম হারিনালের একটি বাসায় জঙ্গি আস্তানায় শনিবার ভোরে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। সেখান থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।