অবস্থার আরও উন্নতি : ৪ দিন পর চোখ মেলে তাকিয়েছেন খাদিজা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ অক্টোবর ২০১৬, ৪:৪৪ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা স্কয়ার থেকে:
সিলেট এমসি কলেজে ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের চাপাতির কোপে গুরুতর আহত কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
স্কয়ার হাসপাতালের অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট রেজাউস সাত্তার বলেন, ” খাদিজার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অবশ্যই ভালো। সে এখনও সংজ্ঞাহীন। তবে তার হাত পায়ে অনুভূতি রয়েছে। কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস প্রায় ৪ দিন পর চোখ মেলে তাকিয়েছেন।”
শনিবার (০৮ অক্টোর) দুপুরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান খাদিজার চিকিৎসক ডা. এ এম রেজাউস সাত্তার।
স্কয়ার হাসপাতালের অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট রেজাউস সাত্তার বলেন, ৯৬ ঘণ্টা পর খাদিজার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তিনি ডান হাত-পা নড়াচড়া করেছেন। ডান চোখও খুলতে পেরেছেন। বিশেষজ্ঞ এ চিকিৎসকের আশা, বয়স কম হওয়ায় খাদিজার মস্তিষ্কের আঘাত ধীরে ধীরে সেরে যেতে পারে।
রেজাউল সাত্তার বলেন, এ ধরনের রোগীদের দীর্ঘ মেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। সংজ্ঞা ফিরে এলে অর্থোপেডিকস চিকিৎসকরা চিকিৎসা শুরু করবেন। এ ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে অঙ্গহানি বড় বিষয় নয়, বেঁচে থাকাই বড় কথা।
তিনি আরো বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘গোল্ডেন আওয়ার’ বলে একটা কথা আছে। চার ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরু করতে হয়। এক্ষেত্রে সিলেট মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। তাই ১২/১৩ ঘণ্টা পেশেন্ট রিসিভ করলেও খাদিজা বেঁচে আছে।
উল্লেখ্য, সোমবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে খাদিজা আক্তার নার্গিসকে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে বদরুল আলম নামের এক শাবি ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা। গুরুতর আহত খাদিজাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সোমবার মধ্যরাতেই ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
পরে অন্য শিক্ষার্থীরা বদরুলকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
ঘটনার দিন গুরুতর আহত অবস্থায় খাদিজাকে প্রথমে সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন মঙ্গলবার তাঁকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছেন খাদিজা। খাদিজার চাচা বাদি হয়ে বদরুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বদরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দিয়েছে।